শ্যালক বিআরটিএর এডি আলতাবেরও হিসাব চাইতে পারে

এক বছরে দুদকের দুই মামলা, তবুও খুঁটি নড়েনি বিআরটিএর এডি জলিলের

Passenger Voice    |    ০৩:৪৯ পিএম, ২০২২-০৯-২৮


এক বছরে দুদকের দুই মামলা, তবুও খুঁটি নড়েনি বিআরটিএর এডি জলিলের

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিআরটিএর পটুয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আ. জলিল মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আবারও মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদক বলছে, আসামিরা অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য দেন।

এছাড়া আসামি মো.আ. জলিল মিয়া সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), পটুয়াখালী; কর্তৃক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের নামে হস্তান্তর বা রূপান্তর বা স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধকরণের চেষ্টা ও সহযোগিতা করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনার সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর উক্ত কার্যালয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আ. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে আনা হয়েছিল। এবং তখনও একটি মামলা করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর ।

তবে বিআরটিএর এই দুর্নীতিবাজ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আ. জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে  দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অনুসন্ধান করলেও নজরদারীতে ছিল না তার শ্যালক একই সংস্থা বিআরটিএতে কর্মরত সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আলতাব হোসেন। দুলাভাই ও বোনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় এবং ঘুষ বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় এবার আতঙ্কে আছেন তিনি। 

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর আগে আ. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা করা হলেও অদৃশ্য কারনে সে এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে আছে।