শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:৩১ পিএম, ২০২১-০৫-০৫
করোনাভাইরাস ও চলমান সংঘাতে লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোয় আটকেপড়া ১৬০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। একই ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী একজন বাংলাদেশির লাশও পাঠানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার সকালে সংস্থাটির ভাড়া করা বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আটকেপড়া অভিবাসীদের আইওএমের সহায়তায় এ পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হলো। এসব ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৭৯ জন অভিবাসী লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত এসেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে ফ্লাইটটি লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। ওই ফ্লাইটে লিবিয়ায় মারা যাওয়া এক প্রবাসী বাংলাদেশির লাশও ফেরত আনা হয়েছে।
দেশে পৌঁছানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে প্রত্যাবর্তন করা অভিবাসীরা সবাই স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের মধ্যে নয়জন অসুস্থ এবং সাতজন হেপাটাইটিস বি–তে আক্রান্ত। এ কারণে তারা লিবিয়ার সফর জেলে আটক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফিরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ধরে লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন (অনেকে ১০ থেকে ১২ বছর)। তবে লিবিয়ার বিরাজমান পরিস্থিতি, কাজের সুযোগ-সুবিধা অভাব, দিনারের অবমূল্যায়নসহ বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতির বিবেচনায় তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় ছিলেন।
কিন্তু লিবিয়া থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু না থাকায় তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে আইওএমের সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.