লকডাউনে হোটেল বন্ধ, খাওয়া নিয়ে বিপাকে ট্রাক চালক ও হেলপার

Passenger Voice    |    ১১:৪৬ এএম, ২০২১-০৪-০৭


লকডাউনে হোটেল বন্ধ, খাওয়া নিয়ে বিপাকে ট্রাক চালক ও হেলপার

লকডাউন থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম চালু রয়েছে।

ফলে পণ্য নিয়ে আসছে ট্রাক। কিন্তু হোটেল খোলা না থাকায় খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ট্রাকের চালক ও হেলপাররা। 

করোনা সংক্রামণ রোধে লকডাউনে হিলিতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে মুদিখানা, কাঁচাবাজার ও হোটেল রেষ্টরেন্টে খোলা থাকলেও বিকাল ৪টার পর থেকে এসব বন্ধ হয়ে যায়।

একইভাবে হোটেলগুলোতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাকের চালক ও হেলপারদের। 

হিলি স্থলবন্দরে পণ্য নিতে আসা ট্রাক চালক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদেরকে বাংলাদেশের সব জায়গায় ট্রাক নিয়ে যেতে হয়। আজকে ঠাকুরগাঁও থেকে হিলি বন্দরে পণ্য নিতে আসছি। সকালে ও দুপুরে হোটেল থেকে পার্সেল নিয়ে খাই। কিন্তু সন্ধ্যার পর হোটেলগুলো সব বন্ধ থাকে। এতে করে খাবার না পেয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হয়। গতকাল রাতে আমি আমার হেলপার বিস্কুট খেয়ে কোনোরকমে রাত কাটিয়েছি। বন্দরের আশেপাশে হোটেলগুলো খোলা থাকলে রাতের খাবার খেয়ে চলে যেতে পারতাম আমরা। আমাদের মতো অনেক চালক ও হেলপার পণ্য নিতে এসে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নূর-এ আলম বলেন, করোনার সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে দ্বিতীয় বারের মতো লকডাউন চলছে। এতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এছাড়া সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মুদিখানা কাঁচাবাজার ও খাবার হোটেল খোলা থাকবে। ট্রাক ড্রাইভারদের প্রয়োজনে রাতের খাবার কিনে নিয়ে গাড়িতে রাখতে হবে।