শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:২৮ পিএম, ২০২১-০২-১০
সড়কবাতির নিচে অন্ধকার প্র বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজার, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত অধিকাংশ সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব সড়কবাতি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে খুঁটি ও বাতি থাকলেও মাসের পর মাস সেগুলোতে আলো জ্বলেনি। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থপানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাতের অন্ধকারে সংঘটিত অপরাধ ও নাশকতা এড়াতে ও মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য বেলাব উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয় সড়কবাতি। স্থাপনের পর সঠিক তদারকির অভাবে ও নিম্নমানের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ সড়কবাতি অকেজো হয়ে পড়ে। আবার অনেক সড়কবাতি ঘণ্টা খানেক আলো দিয়েই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার
হয়ে থাকে। আর এ অন্ধকারের সুযোগ নেয় চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীসহ অন্য অপরাধীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) সড়কবাতি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে পারেনি। তবে তারা জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বেলাব উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রথম পর্যায়ে স্থাপন
করে ৭৮টি সড়কবাতি। একই অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থাপন করা হয় ৯২টি সড়কবাতি। সড়কবাতিগুলো
স্থাপন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক ফর ইউনিভার্সেল সার্ভিসেস অ্যান্ড রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট (নুসরা) নামে
একটি প্রতিষ্ঠান। শর্ত অনুযায়ী স্থাপনের পর তিন
বছর সড়কবাতিগুলো এ কোম্পানির দেখভাল ও সার্ভিস দেওয়ার কথা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে একাধিক স্থানের সড়কবাতি। এর মধ্যে বেলাব সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়ার বাড়ির কাছে পুকুরপাড় বরাবর সড়কবাতি, চরবেলাব মাদ্রাসা ঘাট ও কাওয়াবাড়ির কাছে দুটি, বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগান পাকুরিয়া মোড়ের কাছে স্থাপিত একটি, বাজনাব কাজির টেক, বীর বাঘবেড় তেঁতুলতলা, নাগের বাজার মোড় ও চন্দনপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দুটি, সররাবাদ মালেকের মোড়ের কাছে স্থাপিত একটি, একই এলাকার বড় বাড়ির মসজিদের কাছে স্থাপিত একটি, চরউজিলাব ইউনিয়নের খামারচর গ্রামের এএনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে কালভার্ট বরাবর একটি, আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দি কালিয়ার মোড়ের সড়ক বাতিসহ অর্ধশতাধিক সড়কবাতি ইতোমধ্যে বিকল হয়ে পড়েছে ও আরও কিছু সড়কবাতি বিকলের পথে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে
বিকল থাকলেও এসব সড়কবাতি মেরামতের জন্য এগিয়ে আসেনি কর্তৃপক্ষ। সড়কবাতির আলো না থাকায় এসব এলাকায় রাতের আঁধারে অপরাধ বেড়েই চলেছে।
নেটওয়ার্ক ফর ইউনিভার্সেল সার্ভিসেস অ্যান্ড রুরাল অ্যাডভান্সমেন্টের (নুসরা) বেলাব উপজেলা শাখার ইউনিট ম্যানেজার বকুল মিয়া বলেন, শীতকালীন ধুলাবালি ও কুয়াশার কারণে কিছু সড়কবাতি বিকল হয়েছে। এগুলো আমি সংগ্রহ করে মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। এ ছাড়া সড়কবাতিগুলোর ব্যাটারি চায়না কোম্পানির। করোনার কারণে ব্যাটারি আনতে না পারায় এগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না।
বক্তব্য নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাছুম শাহ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। তার ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা রায়পুরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দীন বলেন, বেলাবর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সড়কবাতি তার দায়িত্ব পালনকালে স্থাপন করা হয়। তবে যেহেতু আমাকে জানানো হয়েছে, আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করব।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.