শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:০৯ পিএম, ২০২৫-১২-০৮
বলিউড অভিনেত্রী কাশ্মিরা শাহ। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় পার্শ্ব ও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিনি। কাজ করেছেন সুপারস্টার সালমান খানের সঙ্গেও। জনপ্রিয় কমেডিয়ান ক্রুষ্ণা অভিষেকের স্ত্রী তিনি। পর্দার জীবন বর্ণিল হলেও মা হওয়ার লড়াইটা কাশ্মিরার জন্য ছিল চরম যন্ত্রণাদায়ক ও দীর্ঘ। যদিও সারোগেসির মাধ্যমে যমজ সন্তানের মা হন এই অভিনেত্রী।
কাশ্মিরা জানান, ১৪ বার চেষ্টা করেও মা হতে পারেননি তিনি। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিকভাবে ক্রুষ্ণাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই মা হওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তবে বয়স ও শারীরিক জটিলতার কারণে স্বাভাবিক উপায়ে মা হতে পারছিলেন না।
এরপর বেছে নেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের কৃত্রিম পদ্ধতি আইভিএফ। কিন্তু এই পথ ছিল আরও বেশি কষ্টের। দীর্ঘ তিন বছরে একে একে ১৪ বার আইভিএফের মাধ্যমে মা হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
অতীতের সেই যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কাশ্মিরা বলেন, আমি তিন বছর ধরে গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবই বিফলে গেছে। এই সময়টা ছিল ভীষণ কঠিন। আইভিএফ ইনজেকশন আর হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আমার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটেছিল। সারাক্ষণ মেজাজ খিটখিটে থাকত, ওজন হু হু করে বাড়ছিল। শরীর এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল যে স্বাভাবিক কাজকর্ম করাও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে সারোগেসির সিদ্ধান্ত নেন কাশ্মিরা। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অনেকেই অভিযোগ করেন, নিজের ফিগার ঠিক রাখতেই তিনি এভাবে গর্ভ ধারণের সিদ্ধান্ত নেন।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, লোকেরা ভেবেছিল আমি ফিগার নষ্ট করতে চাই না বলে মা হতে পারছি না। কিন্তু সত্য ছিল ঠিক তার উল্টো। আইভিএফের ইনজেকশনের কারণে আমার শরীরের আকার ২৪ থেকে ৩৪ হয়ে গিয়েছিল। আমার চিকিৎসকরা বলছিলেন আমি ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য হারাচ্ছি। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি, না মাতৃত্বের স্বপ্ন থেকে, না নিজের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা থেকে।
অবশেষে পূর্ণতা সব লড়াই আর ব্যর্থতা শেষে সারোগেসির মাধ্যমেই যমজ ছেলের জননী হন কাশ্মিরা। বর্তমানে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত