শিরোনাম
Passenger Voice | ০৬:৩৭ পিএম, ২০২৫-১২-০৭
ট্রেন পরিচালনায় সময় ও খরচ বাঁচাতে বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালনার দিকে হাঁটছে রেলওয়ে। বহুদিন ধরেই বৈদ্যুতিক ট্রেনের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু রেলের একটি অংশ এর বিরোধিতা করছে। অপচয় অব্যাহত থাকলেও বৈদ্যুতিক ট্রেনের বিপক্ষে তাদের অবস্থান। এর মধ্যেই বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালনার জন্য একটি রুটকে বেছে নিচ্ছে রেলওয়ে। এতে সফলতা পেলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রুটেও বৈদ্যুতিক ট্রেন চলবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালনা করা হলে সময় ও ব্যয় হ্রাসসহ পরিবহন সক্ষমতা বাড়বে। ফলে কয়েকটি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রিক ট্রাকশন নির্মাণের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর সেকশনে ইলেকট্রিক ট্রাকশন বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম ব্যস্ততম রুট। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক যাত্রী নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা ও ঢাকা-জয়দেবপুর পথে যাতায়াত করে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এ পথে সড়ক ও রেলপথের পরিবহন সক্ষমতা অপ্রতুল। তাই যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা হয় এমন বিবেচনায় এ দুটি রুটে ইলেকট্রিক ট্রাকশন নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
জানা গেছে, বিগত ১৫ বছরে রেলে সোয়া লাখ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও এড়িয়ে যাওয়া হয় বৈদ্যুতিক ট্রেনের বিষয়টি। অথচ পাশের দেশ ভারতে একশ বছর আগে অর্থাৎ ১৯২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎচালিত ট্র্যাকে ট্রেন চালানো শুরু হয়। বিশ্বের যেসব দেশে ট্রেন চলছে- সবখানেই এখন পুরোদমে চলছে বৈদ্যুতিক ট্রেন। পিছিয়ে শুধু বাংলাদেশ।
সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালনায় জ্বালানি-ব্যয় দেশের প্রচলিত ট্রেনের চেয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ কম। ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ৫ থেকে ৭ মিনিট পরপর ট্রেন চালানো যাবে। বারবার ইঞ্জিন বদল করতে হবে না। তা ছাড়া ডিজেল ইঞ্জিন চলন্ত অবস্থায় মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়, বৈদ্যুতিক ট্রেনে এমনটা হবে না। আর ট্রেনের শিডিউল রক্ষাও সহজ হবে। নির্ধারিত স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোসহ।
ইলেকট্রিফিকেশনের মাধ্যমে রেলপথে পরিবর্তন আনা যাবে। রূপান্তরের পর ঘণ্টায় দুইশ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটকে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন করার কথা রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত