শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:১৩ পিএম, ২০২৫-১১-২০
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ও কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ায় সারা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তা চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বন্দর পরিচালনার ভার বিদেশিদের দেওয়ার প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। বন্দর রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করেছে সব শ্রমিক সংগঠনও।
দেশের বামপন্থী দলগুলো দীর্ঘদিন আন্দোলন অব্যাহত রাখলেও এবার মাঠে নামছে ডানপন্থী সংগঠনগুলোও। দাবি আদায়ে আগামী সপ্তাহেই হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে আন্দোলনকারীদের বড় অংশের।
আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন চুক্তি করে দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশি কম্পানির হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত সোমবার ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে লালদিয়ার চর কনটেইনার টার্মিনাল এবং সুইজারল্যান্ডের মেডলগ এসএর সঙ্গে পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার চুক্তি হয়েছে। আরো টার্মিনাল হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৪৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী লাভজনক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। এনসিটিতে আদালতের মৌখিক স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গত ১৬ নভেম্বর সাত সদস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর পর্ষদের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদারকে। এনসিটি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন। ব্যারিস্টার মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বরের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে আশ্বাস দিয়েছিল, রিটের শুনানির আগে তারা (বন্দর কর্তৃপক্ষ) নতুন পদক্ষেপ নেবে না।এর পরও গত ১৬ নভেম্বর কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠানো ‘সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল’।
জানা গেছে, দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ তুলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন্দরে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়। তখন ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পড়ে সরকার। ওই সময়েই চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দুবাইভিত্তিক বিদেশি কম্পানিকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাতে নতুন গতি পায়। এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো।
সম্প্রতি দেশের পাঁচটি টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার আলোচনা সামনে আসে। গত সোমবার লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের বিষয়ে দুই বিদেশি কম্পানির সঙ্গে চুক্তির পর প্রবল আপত্তি তুলছে বিভিন্ন সংগঠন। গোপনে তড়িঘড়ি করে ৩৩ বছর মেয়াদি চুক্তির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এ চুক্তির ফলে বন্দরের টার্মিনাল ব্যবহারের সব নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কম্পানির হাতে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের মোট সাতটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালের পাঁচটিই বিদেশি অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হতে যাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে এসব চুক্তি করা এবং চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ না করায় সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বন্দরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিচালনায় বিদেশি কম্পানির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, গণসংযোগ, গণ-অনশন, গণমিছিল ও মশাল মিছিলের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলসহ দেশের ক্রিয়াশীল অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠনের জোট ‘শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)’, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাসদ, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, পাঁচদলীয় বাম জোট এবং উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ছাত্র-যুব সংগঠন। টার্মিনাল ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীও।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বিশাল মশাল মিছিল করেছে ‘চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ’। আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন। আগামী শনিবার চট্টগ্রামে জাতীয় কনভেনশন আহবান করেছে স্কপ। কনভেনশন থেকে হরতাল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাংক রোড অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। চট্টগ্রাম স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, শ্রমিক-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসমাজ ও দেশের জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে গণবিরোধী ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত চুক্তি জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। স্টেকহোল্ডারদের মতামত ছাড়াই এই দীর্ঘমেয়াদি ইজারা চুক্তি করা হয়েছে। তাই স্কপ এই ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। অবিলম্বে চুক্তি বাতিল না করলে আগামী শনিবার চট্টগ্রামে শ্রমিক কনভেনশন থেকে হরতাল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাংক রোড অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
স্কপ ঘোষিত সব আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ, গণসংযোগ, পদযাত্রার কর্মসূচি রয়েছে। স্কপের কনভেনশনে নতুন কর্মসূচি আসবে। সরকার দাবি না মানলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও এবং প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হবে। স্কপের নেতৃত্বে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক। তিনি বলেন, শর্ত গোপন রেখে ও জনগণের নানা অংশের মতামত উপেক্ষা করে যেভাবে চুক্তি করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারও স্বৈরাচারী সরকারগুলোর পথে হাঁটছে। যে সরকারের বয়স মাত্র তিন মাস আছে, সেই সরকারকে কেন প্রবল বিরোধিতা ও বিতর্কের মধ্যে এই চুক্তি করতে হবে?
সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে লালদিয়া ও পানগাঁও নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে, তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হয়ে কাজ করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আমাদের প্রতিবাদ জারি রেখেছি। এসব চুক্তি শুধু ক্ষতিকর নয়, স্বার্বভৌমত্ববিরোধী। গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার এসব চুক্তি বাতিলে বাধ্য হবে।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, কোনো ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি না করে বাংলাদেশের হার্ট চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি এনসিটি বিদেশিদের হাতে লিজ না দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে গোলক ধাঁধা তৈরি করে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বন্দরের মালিকানা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে যাদের ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতাও ছিল না, এমন বিদেশি নাগরিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী বলেন, বন্দর উন্নয়নের নামে তা বিদেশি কম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বন্দর রক্ষা ও করিডরবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র। এমন একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে, চুক্তি করার আগে চুক্তির শর্ত প্রকাশ করতে হবে, সর্বজনের সম্মতি লাগবে।
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতারা। গতকাল বুধবার জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ অন্য নেতারা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনাল হেড মুহাম্মদ শাহজাহান গতকাল বুধবার বিবৃতিতে অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র, যা দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুর সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তাই এ বিষয়ে তাড়াহুড়াপ্রবণ, অস্বচ্ছ ও গোপন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই।
প্যা.ভ.ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত