শিরোনাম
Passenger Voice | ০৩:২৭ পিএম, ২০২৫-১১-১৭
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফের আনা হয়েছে দুইটি বুলডোজার। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ট্রাকে করে বুলডোজার দুইটি নেওয়া হয়। সে সময় ট্রাকের উপরে হাতে মাইক নিয়ে কয়েকজন তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন বলেন ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বুলডোজার দুইটি আনা হয়েছে।
তবে ৩২ নম্বরে যারা বুলডোজার নিয়ে গেছে তাদের রাজাকার আখ্যা দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট দোসর অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। দুটি বুল্ডোজার ধানমণ্ডির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন কার্ড শেয়ার করে শাওন লিখেছেন, মনের ভয়-ই আসল ভয় বুঝেছিস গাধার দল! বারবার ভেঙে, বারেবারে আগুন দিয়েও তোদের ভয় যায়নি…
এই ভাঙা বাড়ির প্রতিটা ধূলিকণা যে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে মিশে আছে সেটাকে কিভাবে অস্বীকার করবিরে রাজাকার বাহিনী!’ এই পোস্টে শাওন হ্যাশট্যাগ হিসেবে দিয়েছেন #তুই_রাজাকার ও #ধানমন্ডি_৩২।
এর আগে গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার ছয় মাস পূর্তির দিন গেল ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙা হয়।
রাত সোয়া ১১টার দিকে ক্রেন ও এক্সক্যাভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। ঘণ্টাখানের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয় তিন তলা বাড়ির একটি অংশ। রাত সোয়া ১টার পর সেই কাজে কিছুটা বিরতি দেওয়া হয়। পরে আরো একটি এক্সক্যাভেটর ভাঙার কাজে যোগ দেয়।
মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা একবার ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটির সামনে গেলে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান তোলে ছাত্র-জনতা। ওই বাড়ি ঘিরে হাজার তিনেক মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে সেদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে একটি ক্রেন পৌঁছায়। মানুষের উল্লাসধ্বনির মধ্যে সেটি মূল সড়ক থেকে ৩২ নম্বরের সড়কে ঢোকে। ক্রেনে ওপরে উঠে স্লোগান দিতে থাকেন অনেকে। পরে আসে একটি এক্সক্যাভেটর।
কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে সরে যায় সেনাবাহিনী। গভীর রাতে মাইকে গান ছেড়ে একদল মানুষকে সেখানে নাচতেও দেখা যায়। পরে বাড়িটি ভেঙে অর্ধেকের বেশি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে ওই ভাঙা বাড়ি ঘিরেই ওই সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রেখেছে সরকার।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত