শিরোনাম
Passenger Voice | ০৪:৪০ পিএম, ২০২৫-১০-২৯
চলতি অর্থবছরে সরকারি পর্যায়ে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেসব গাড়ি ১০ বছরের বেশি পুরোনো হয়ে গেছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেসব গাড়ি প্রতিস্থাপন বা রিপ্লেস করা যাবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণও। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ থাকবে। সে ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে, সেটি অনুসরণ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত সোমবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ও সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয়সীমার (পরিচালন ও উন্নয়ন) মধ্যে রাখতে হবে। কোনোভাবেই প্রাক্কলিত বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা যাবে না। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ খাতে পরিচালন বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ও বন্ধ থাকবে। তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে অর্থ বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে অর্থ ব্যয় করা যাবে। আর উন্নয়ন বাজেটের আওতায় পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে সরকারের যে বরাদ্দ দেওয়া আছে, তা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে ব্যয় করা যাবে। সে ক্ষেত্রেও অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
এ ছাড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত রাখতে বলা হয় নির্দেশনায়। পাশাপাশি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দেওয়ার কথাও বলা হয়। সংশোধিত এডিপির মূল অংশে বরাদ্দবিহীনভাবে কোনো প্রকল্প রাখা যাবে না বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন-সম্পর্কিত প্রকল্প এবং চলতি অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছে অর্থ বিভাগ। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এমন প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ারও কথা বলা হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ধীরগতির প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কমিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া যাবে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু, কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত