নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল মেট্রোরেলের

Passenger Voice    |    ১২:১৬ পিএম, ২০২৫-১০-২৮


নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল মেট্রোরেলের

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চালানো শুরু করা হয়েছিল তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা (অডিট) ছাড়াই। এরপর দুবার ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ার ঘটনা ঘটল।

মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প চালুর আগে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে নিরাপত্তা নিরীক্ষা জরুরি বলে মনে করেন বলে দেশীয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বড় প্রকল্প বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শেখ মইনউদ্দিন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পথে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিনে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করে। যদিও তখন যাত্রী নিয়ে চলার আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। নিরাপত্তার নানা বিষয় দেখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা হলে সব ত্রুটিবিচ্যুতি ধরা পড়ত। যেহেতু ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ার ঘটনা দুবার ঘটেছে, তাই এখন নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা উচিত। উল্লেখ্য, বিয়ারিং প্যাড মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথ ও পিলারের মধ্যে সংযোগকারী।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘বিয়ারিং প‍্যাডে সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছরের আগে সমস্যা হয় না। ঢাকার মেট্রোরেলে এটি খুলে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। তদন্তে কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্প চালুর আগে এর মান ও নিরাপত্তাব্যবস্থা থরো চেক (বিস্তারিত যাচাই) করার নিয়ম আছে। সেটা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করতে হয়। যদি না হয়ে থাকে, সেটা ঠিক হয়নি।’ শেখ মইনউদ্দিন আরও বলেন, ‘এখন আমরা নিরাপত্তা ও কাজের মান পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণে আলাদা একটি দল গঠন করব।’ মেট্রোরেল রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন।

বর্তমানে এই বাহনে দৈনিক যাতায়াত করেন সাড়ে চার লাখ যাত্রী। মেট্রোরেলের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে গত রোববার ফার্মগেট স্টেশন এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম নামের এক যুবক নিহত হওয়ার পর। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দুর্ঘটনার পর রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আগারগাঁও থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বাদ রেখে বাকি অংশে চলাচল শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পুরো পথে চালু হয় গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে। চলাচল বন্ধ থাকায় রাজধানীতে যানজট ও মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি দেখা গেছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গতকাল সকালে বাসে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাইলাম, তারপরও সিএনজি যেতে রাজি হলো না। ইতিমধ্যে অফিসে ঢোকার সময় পেরিয়ে গেছে।’

মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। তখন অনুমোদনের সময় ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেলের পথ নির্মাণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে; যা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি, বিশ্বেই অন্যতম শীর্ষে।

পুরো ব্যবস্থার নকশা প্রণয়ন, ঠিকাদার নিয়োগ এবং নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে ছিল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এনকেডিএম অ্যাসোসিয়েশন, যা বেশ কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত জোট। এর মূল নেতৃত্বে রয়েছে জাপানের নিপ্পন কোই। এ ছাড়া আরও আছে নিপ্পন কোই ইন্ডিয়া, দিল্লি মেট্রোরেল করপোরেশন, যুক্তরাজ্যের মট ম্যাগডোনাল্ড, মট ম্যাকডোনাল্ড ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস। তাদের দলনেতা ছিলেন জাপানের তাকাউকি ফুজিতোমি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ বড় প্রকল্পগুলো নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাত। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের শুরু থেকেই রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়া করেছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অধিকাংশ কর্মকর্তার কারিগরি জ্ঞান ছিল না। জনপ্রশাসনের কর্মরত ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারাই ছিলেন নেতৃত্বে। তাঁরাও নিরাপত্তার বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দেননি। এ ছাড়া ঠিকাদার ও পরামর্শকদের কাজে প্রশ্ন তোলা, জবাবদিহি করার বিষয়টিও এতটা গুরুত্ব পায়নি।

তৃতীয় পক্ষ দিয়ে নিরাপত্তা নিরীক্ষা যেমন হয়নি, তেমনি মেট্রোরেলের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) কাছেও প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। মেট্রোরেল আইন, ২০১৫ ও মেট্রোরেল বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী, ডিটিসিএর কাছে নিয়মিত নিরাপত্তা প্রতিবেদন জমা দিয়ে সব ধরনের কারিগরি ও নিরাপত্তাবিষয়ক অনুমোদন নেওয়ার কথা।

ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রোরেল চালুর পর থেকে ডিএমটিসিএল একটি নিরাপত্তা প্রতিবেদনও জমা দেয়নি। মেট্রোরেলের কার্যক্রম শুরুর আগে সনদ গ্রহণের জন্য স্বতন্ত্র তৃতীয় পক্ষের কোনো সংস্থাকে নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল ডিটিসিএ। কিন্তু সে কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, সব কটি পিলারের বিয়ারিং পরীক্ষা করা হয়েছে। সে সময় বিয়ারিং সরে যাওয়া কিংবা বিচ্যুতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা হয়নি। অন্যদিকে ইস্পাতের কাঠামো যুক্ত করার বিষয়ের সঙ্গে অর্থ ব্যয় যুক্ত। ফলে কাজটি ঠিকাদার করবে, নাকি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ করবে—এটি নিয়ে দেনদরবার চলছে।

২০২৪ সালের তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছিল
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার ঘটনার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল পরিচালনা কোম্পানির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবদুল বাকী মিয়ার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটির ছয়জনই ছিলেন নিজস্ব কর্মকর্তা। চারজন ছিলেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তখন বলা হয়, দৈনন্দিন ট্রেন চলাচলের কারণে গার্ডারের (মেট্রোরেলের কংক্রিটের কাঠামোর অংশ) বিচ্যুতি এবং সংকোচনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পথের সব বিয়ারিং পরীক্ষা করা এবং ড্রোনের মাধ্যমে ছবি তুলে তা সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিয়ারিংগুলো আটকে রাখার জন্য ইস্পাতের কাঠামো যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, সব কটি পিলারের বিয়ারিং পরীক্ষা করা হয়েছে। সে সময় বিয়ারিং সরে যাওয়া কিংবা বিচ্যুতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা হয়নি। অন্যদিকে ইস্পাতের কাঠামো যুক্ত করার বিষয়ের সঙ্গে অর্থ ব্যয় যুক্ত। ফলে কাজটি ঠিকাদার করবে, নাকি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ করবে—এটি নিয়ে দেনদরবার চলছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েও এর সুরাহা করতে পারেনি।

ইস্পাতের রক্ষাকবচ দেওয়ার চিন্তা
বিশেষজ্ঞ ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার ফার্মগেটে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে যায়, তা ওই প্যাডের ক্ষয়ের কারণে হয়েছে বলে মনে হয়নি। বরং অবকাঠামোর নকশা বা নির্মাণে ত্রুটির কারণে হতে পারে। ভারী কংক্রিটের স্থাপনার চাপের মধ্য থেকে এটি ফসকে নিচে পড়ে যাওয়ার কথা নয়। ট্রেন চলাচলের ফলে সৃষ্ট কম্পন, তাপমাত্রাসহ নানা কারিগরি কারণে মূল স্থাপনার বিচ্যুতি হয়ে থাকতে পারে।

এদিকে রোববার খুলে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের জায়গায় নতুন প্যাড বসিয়ে দুটি ইস্পাতের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। সব কটি পিলারেই এটা করা হবে। তবে এ কাজ কে করবে, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ঠিকাদারকেই করতে হবে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পথে ৬২০টি পিলার রয়েছে। এসব পিলারের নিচে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে ২ হাজার ৪৮০টি। বিয়ারিং প্যাডগুলোর দৈর্ঘ্য সোয়া দুই ফুটের আশপাশে। চওড়া পৌনে দুই ফুট। আর এটির পুরুত্ব আধা ফুটের মতো। ওজন ৫০ থেকে ৮০ কেজির মধ্যে।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ রোববারই প্রকল্প পরিচালক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছেন। এতে নিরাপত্তা নীতি অনুসারে দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ প্রদান, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সব কটি বিয়ারিং প্যাড পরীক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোনো প্যাড পেলে তা প্রতিস্থাপন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে না—এমন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সনদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর আইনি ও আর্থিক দায়ভার ঠিকাদার ও পরামর্শককে বহন করতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, এর আগে গত জুন থেকে এ পর্যন্ত স্থাপনার সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সাতটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারের কাজ তদারকির মূল দায়িত্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরের। তাই সব কটি চিঠি পরামর্শক ও প্রকল্প পরিচালকের উদ্দেশে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ গতকাল বলেন, কেন বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ল, তা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সব কটি বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার জন্য স্টিলের রক্ষাকবচ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেসব মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হবে, সেগুলোতে বিয়ারিং প্যাড বসানোর জায়গায় কংক্রিটের বেষ্টনী দেওয়া হবে, যাতে এগুলো সরে না যেতে পারে।

ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে লাইন-৬–এর অধীন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। দুটি মেট্রোরেল লাইনের দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি তিনটির মধ্যে দুটি পরিকল্পনায় রয়েছে। একটির প্রকল্প তৈরি হয়েছে।

মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী রাজধানীর কাজীপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলে চলাচল নিয়ে তাঁর মধ্যে কিছু দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। তবে তিনি চলাচল বাদ দেবেন না। কারণ, এমন স্বস্তিকর গণপরিবহন নেই। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করে মানুষকে আশ্বস্ত করা।

 

প্যা/ভ/ম