শিরোনাম
১ নভেম্বর অনশনের ডাক
Passenger Voice | ০৪:২০ পিএম, ২০২৫-১০-২২
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ (এনসিটি) কোনো স্থাপনা দেশি বা বিদেশি কোনো পক্ষের কাছে ইজারা না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশ শেষে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি শেষের ঘোষণা দেন। কর্মসূচি থেকে আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সময় শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার যদি দ্রুত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তবে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত চট্টগ্রাম বন্দরকে বেসরকারিকরণ বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। তাঁরা অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি তপন দত্ত। বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, বিএলএফের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক প্রমুখ।
তপন দত্ত বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়, এটি ১৯ কোটি মানুষের সম্পদ। এই বন্দরের কোনো অংশ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের শ্রমজীবী মানুষের পেটে লাথি মারা।’ আগামী ১ নভেম্বর সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাবের সামনে শত শত শ্রমিক-কর্মচারী অনশনে বসবেন বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের মিছিলে বাধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ বলেন, ‘বন্দর থানা এলাকায় ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। সে কারণে শ্রমিক নেতাদের অনুরোধ করা হয় ডবলমুরিং থানার সীমানার মধ্যেই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখতে। তারা তা মেনেছেন।’
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত