সরকারকে দেওয়া ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ ফেরত চায় ওষুধ শিল্প সমিতি

Passenger Voice    |    ০৪:৩৩ পিএম, ২০২৫-১০-২১


সরকারকে দেওয়া ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ ফেরত চায় ওষুধ শিল্প সমিতি

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের পর ওষুধ শিল্পখাতকে বিপর্যয় থেকে রক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি। এ ক্ষেত্রে যেসব পণ্যের ওপর সরকারকে শুল্ক, ডিউটি ও ভ্যাট দেওয়া হয়েছে সেগুলোর অর্থ ফেরতের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিল্প সমিতির সদস্যরা। সেখানে তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন। বাকি দাবিগুলোর মধ্যে আছে- ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ব্যাংক এলসি চার্জ ও সুদ মওকুফ করা এবং পুনরায় আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যেন মার্জিন, চার্জ ও সুদ ছাড়া সহজ শর্তে এলসি খোলার সুবিধা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, কার্গো ভিলেজের আগুনে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ওষুধ তৈরির কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ভ্যাকসিন ও হরমোন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। জাকির হোসেন জানান, আগুনে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ৩০৭টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মধ্যে ২৫০টি সক্রিয়ভাবে উৎপাদনে আছে। প্রাথমিকভাবে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কাঁচামালের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে। সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মধ্যে এমন কিছু কাঁচামাল ছিল যা বিশেষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য এবং বেশিরভাগই নারকোটিকস বিভাগ থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এসব কাঁচামাল পুনরায় আমদানির প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ওষুধ উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদী অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানান জাকির হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্পেয়ার পার্টস ও অত্যাবশ্যক মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওষুধ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে। অন্য বিমানবন্দরে পৌঁছানো কাঁচামাল নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, সেগুলো বিশেষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা দরকার। কিন্তু এটি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।