শাহজালাল বিমানবন্দর: অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিরীক্ষা হয়নি এক বছর

Passenger Voice    |    ০৩:১২ পিএম, ২০২৫-১০-২১


শাহজালাল বিমানবন্দর: অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিরীক্ষা হয়নি এক বছর

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই এলাকা। কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত স্থাপনাগুলো বছরে দুইবার জরিপ বা নিরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটিতে গত এক বছরেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে জরিপ করা হয়নি। এ জন্য এখন থেকে দেশের সব কেপিআইভুক্ত স্থানকে নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় গত রোববার স্বরাষ্ট্র সচিবকে প্রধান করে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র সচিব। পরিদর্শনে গিয়ে তারা জানতে পারেন, গত এক বছরেও বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জরিপ করা হয়নি।     

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ একটি প্রিমিয়াম কেপিআইভুক্ত এলাকা। এরপরও গত এক বছরে কোনো জরিপ না হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে দেশের সব কেপিআইভুক্ত এলাকা নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী কেপিআই জরিপ কমিটিকে পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন শেষে জরিপ প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া সারাদেশে ১০৩টি কেপিআইভুক্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সেখানে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যথাযথভাবে সচল রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এর আগেও আগুন লেগেছিল। এরপরও নিয়মিত জরিপ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ জন্য সিভিল এভিয়েশনের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনা দায়ী। এখানে পেশাদারিত্বও ছিল না। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো মহড়া দেওয়া হয়। উচিত ছিল প্রতিটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সঠিকভাবে পরীক্ষা করা। 

তিনি বলেন, যথাযথভাবে জরিপ না হওয়া এটি একটি গুরুতর সমস্যা। কারণ এটি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ায় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় বাধা দেয়।

কেপিআই জরিপ কমিটির সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন বা রেঞ্জের ডিআইজি/অতিরিক্ত ডিআইজি। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর একজন মেজর/ক্যাপ্টেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কেপিআইর একজন প্রতিনিধি, একজন বিস্ফোরক পরিদর্শক সদস্য হিসেবে থাকবেন। সদস্য সচিব হবেন সংশ্লিষ্ট সার্কেল/সিটিএসবি/কেপিআইর এএসপি। কার্যপরিধি অনুযায়ী, বিশেষ, ১(ক) ও ১(খ) শ্রেণিভুক্ত স্থাপনাসমূহ বছরে দুইবার, ১(গ) শ্রেণিভুক্ত স্থাপনাগুলো বছরে একবার, ২য় শ্রেণিভুক্ত স্থাপনাগুলোর দুই বছরে একবার জরিপ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন স্থাপনা জরিপ করা। জরিপ প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ও কেপিআই নিরাপত্তা কমিটির সদস্য সচিবের কাছে পাঠাতে হয়।

বিমানবন্দরে আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি 
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বীমা দ্রুত নিষ্পত্তি ও বীমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ এবং সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। গতকাল সোমবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। 

এদিকে গতকাল কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ইউনিট আগুন লাগার উৎস ও বিস্তারের কারণ অনুসন্ধানে ধ্বংসস্তূপ থেকে ২১ ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি এবং রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দলও কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করে। রাশিয়ার দলটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আমদানি করা সরঞ্জামাদি কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা যাচাই করতে আসে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া গতকাল কার্গো ভিলেজের ৯ নম্বর ফটকে নতুন করে পণ্য খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে অনেক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও তাদের প্রতিনিধিরা সেখানে অবস্থান নিয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষা করেন। কেউ কেউ জানতে গিয়েছেন, তাদের পণ্য অক্ষত আছে, নাকি সব ছাই হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও আনসারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। এর আগে কার্গোর গুদাম ও ফাকাঁ স্থানে থাকা পণ্য ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত একাধিক সংস্থার তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে।

রোববার ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন অধিদপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সমকালকে জানান, ফায়ার সার্ভিস মূলত ঘটনার পর থেকেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। সোমবার কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

২১ ধরনের নমুনা উপাদান সংগ্রহ
গতকাল দুপুর ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডস্থলে যায় সিআইডির ফরেনসিক ইউনিট। আগুন লাগার উৎস ও বিস্তারের কারণ অনুসন্ধানে তারা ঘটনাস্থল থেকে ২১ ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এসব নমুনার মধ্যে ঘটনাস্থলের ছাই, সাদা ও হলুদ রঙের পাউডার, প্রসাধনসামগ্রী, কাপড়, কাগজ, প্লাস্টিক, ধাতব বস্তুর পোড়া অংশসহ ঘটনাস্থলের বিভিন্ন পোড়া অংশ রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, নমুনা উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো ল্যাব পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে কোনো ক্লু পাওয়া গেলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হবে। 

রূপপুর সরঞ্জাম ক্ষতির খোঁজে রাশিয়ান প্রতিনিধি দল
সকালে রাশিয়ার ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আগুন লাগা কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করে। কার্গো ভিলেজের গুদামে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছিল। এগুলো রাশিয়া থেকে আনা হয়। প্রায় ১৮ টনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতেই রাশিয়ার প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে আসে। 

আমদানি করা পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে কার্গো ভিলেজের ৯ নম্বর ফটকে অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। চোখেমুখে হতাশা নিয়ে খালাস করা পণ্য গ্রহণ করতে সিঅ্যান্ডএফ, আমদানিকারক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফটকের সামনে অপেক্ষা করেন। দুপুর থেকে আমদানি পণ্য খালাস দেওয়া হয়। দেড়টার দিকে ইএমঅন নামে একটি আমদানি প্রতিষ্ঠানের গার্মেন্টস পণ্যের চালান খালাস করা হয়।

ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতারা জানান, এর আগে রোববার রাতে অন্য একটি আমদানি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিমানবন্দরে ৯ নম্বর ফটক দিয়ে খালাস করা হয়েছে।

ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বিমানবন্দর আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আমদানি পণ্য পুড়ে গেছে। কিছু পণ্য সরানোর কারণে এখনও তা ভালো আছে। কিন্তু এসব পুড়ে যাওয়ায় আমদানি কার্গো ভবনের গেট দিয়ে খালাস করার পরিবেশ নেই। এ কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ নম্বর গেট দিয়ে পণ্য খালাসের জন্য ব্যবস্থা করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যের কাগজপত্র তল্লাশি করে খালাস দেয় বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বিমানবন্দর পণ্য খালাস ৯ নম্বর গেটে অবস্থান করা সংগঠনটির সহসভাপতি খাইরুল আলম ভুইয়া মিন্টু বলেন, ইএমঅন প্রতিষ্ঠানের এসব মালপত্র শনিবার আগুন লাগার আগেই বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজে এসেছে। কিন্ত মালপত্রগুলো গোডাউনের বাইরে রানওয়ে (অ্যাপ্রোন এলাকায়) থাকার কারণে রক্ষা পেয়েছে।  

ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনায় কিছু এয়ারলাইন্স কার্গো পরিবহন করছে না। আমরা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে কার্গো পরিবহনে চিঠি দেওয়ার জন্য বলেছি। 

বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আলোচনা 
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগার পর উচ্চপর্যায়ে গঠিত তদন্ত কমিটি যেসব সুপারিশ দিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাকযুদ্ধ চলছে। তবে এই বাকযুদ্ধ যাতে সংঘর্ষ বা মারামারি পর্যায়ে না যায়, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

পাসপোর্ট ফি কমানোর উদ্যোগ 
বাংলাদেশে অতি জরুরি পাসপোর্ট ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট ফির পরিমাণ আরও বেশি। ফলে পাসপোর্টে এই ফি কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। তাই তাদের জন্য পাসপোর্ট ফি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীরা সাধারণত বাংলাদেশ বিমানে আসা-যাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ বিমানে আসা-যাওয়া করলে তাদের ভাষা বুঝতে সহজ হয় এবং দেশি খাবার খেতে পারেন। সেজন্য বিমানের সার্ভিসের মান আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। প্রবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে সুযোগ-সুবিধা কম পান। সে জন্য তাদের সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিমান ভাড়া কমানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিমান ভাড়া মূলত প্রতিযোগিতামূলক। বিমানের ভাড়া বেশি পরিমাণ কমানো হলে অন্যদেরও কমাতে হবে। তবে ভাড়ার বিষয়টি পরে দেখা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ই-গেট চালু করা হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে যাতে ই-গেট চালু করা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা পাসপোর্ট দেখিয়ে ই-গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ মিশনে সব ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে সংশয় বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে কিনা– এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা আগে কখনও ছিল না। এ ছাড়া গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এ নির্বাচনে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।