সড়ক ব্যবস্থার অতিরিক্ত চাপ কমাতে রেলভিত্তিক মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা গ্রহণ

Passenger Voice    |    ১১:২০ এএম, ২০২৫-১০-১৩


সড়ক ব্যবস্থার অতিরিক্ত চাপ কমাতে রেলভিত্তিক মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা গ্রহণ

বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থার অতিরিক্ত চাপ কমাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার এখন রেলভিত্তিক মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার দিকে নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সেক্টরে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। তিনি বলেছেন, দেশের প্রধান সড়কগুলো এতটাই স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে যে এগুলোর ওপর আরও চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই রেল ও ওয়াটারওয়ে ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রোববার বিকালে রাজধানীর রেল ভবনে সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিবহণ সম্পর্কিত খাত নিয়ে কাজ পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) আয়োজিত এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমাদের সব এনফেসিস ছিল শুধু সড়কের ওপর। কিন্তু এখন রোডের থেকে এনফেসিস সরিয়ে রেলের দিকে ফোকাস দিতে চাই। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজারসহ বড় রুটগুলো এত বেশি কনজেস্টেড হয়ে গেছে যে সেগুলো আর স্টেবল নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি জেলার হাব ও যাত্রী কেন্দ্রগুলোতে ট্রেন, বাস ও ওয়াটারওয়ের মধ্যে সিমলেস ট্রানজিশন তৈরি করা। তিনি বলেন, লোকোমোটিভ ও কোচের অভাব থাকলেও আমরা নির্দিষ্ট লাইনে ট্রেন পরিচালনা করতে চাই। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ঠিক করবে কোথায় ট্রেন ও প্যাসেঞ্জার রেল চালানো হবে। এতে ট্রানজিশন কার্যকর হবে এবং প্রতিটি হাবের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ফাইনাল পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিক, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার গ্যাপ প্রায় ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ট্রাফিক ঢাকা কেন্দ্রিক না থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ছড়িয়ে যাবে। ঢাকা শহরের ট্রাফিক এতটাই জটিল যে বড় রোড বানালেও পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে সুবিধা সীমিত থাকে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণ বাসা থেকে অফিসে এবং অফিস থেকে বাসায় নিরাপদে পৌঁছাবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সিমলেস ট্রানজিশন ও মাল্টি-মোডাল সিস্টেম নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। তিনি বলেন, আমরা চাই রোড, রেল ও ওয়াটারওয়ের মধ্যে এমন সমন্বয় তৈরি হোক যা সঠিক সময়সীমার মধ্যে কার্যকর হবে। এতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আরও নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।