শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:৪৩ পিএম, ২০২৫-০৯-২৩
মেঘনাপাড়ের জনপদ লক্ষ্মীপুরে ইলিশে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। ফলে স্থানীয় বাজারে কেনাবেচা বেড়েছে। পাশাপাশি বড় আকারের বাছাই করা মাছ প্রতিদিন পিকআপে ঢাকা ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলাতে যাচ্ছে।
বাজারে কয়েকদিন ধরে বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২২০০ টাকা দামে। ১৫ দিন আগেও এর দাম ছিল আড়াই হাজার টাকা। এছাড়া ২০০-২৫০ গ্রামের ছোট ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপকূলীয় চাঁদপুরের হাইমচর, লক্ষ্মীপুরের হাজীমারা, খাসেরহাট, লুধুয়া ও আলেকজান্ডার মাছঘাটের ৮ জন জেলে ও আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
তারা জানান, গত ১০-১৫ দিন ধরে নদী ও সমুদ্রে আগের তুলনায় কিছু বেশি মাছ পাচ্ছেন জেলেরা। তবে এর মধ্যে মাঝারি ও ছোট সাইজের মাছই বেশি। এ নিয়ে জেলে পল্লি, মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারসহ এ কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
অন্যদিকে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর মাছ ঘাটে আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ আসে। পরে সেটি নিলামে পাইকারি বিক্রি হয় ৯ হাজার ২৫০ টাকায়।
মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হেলাল জানান, মেঘনা নদীতে ধরা এত বড় মাছ এ ঘাটে গত ২০ বছরেও আসেনি। ছোট একটি নৌকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশের অন্তত ২০-২৫টি ঝুঁড়ি রয়েছে। ক্রেতাদের উপস্থিতি ব্যাপক। ছোট মাছের সামনে মানুষের জটলা। হাঁকডাক চলছে। তবে বড় আকারের মাছ রয়েছে ৩-৪ জনের কাছে।
মজুচৌধুরী হাটের খুচরা মাছ বিক্রেতা ফারুক মোক্তার বলেন, বড় ইলিশ কেজিতে ৫০০-৭০০ টাকা কমেছে। মানুষ কম দামে জাটকা বেশি কিনছে। আমিও ছোট মাছ বেশি বিক্রি করি। বড়গুলোতে লাভ কম। কয়েকদিন ধরে আমদানিও বেশি।
লক্ষ্মীপুর জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা বেপারী বলেন, ঘাট ও বাজারে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। বৃষ্টি নেই, নদী-সমুদ্রে গিয়ে জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, মাঝে ইলিশের দাম কিছুটা কম ছিল। বৃষ্টি না থাকার কারণে এখন জেলেদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ছে না। জেলেরা বেশি মাছের আশায় রয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত