৮ মাসে চেয়ারম্যান ইয়াছিনের কর্মকাণ্ড পর্ব-০১

বিআরটিএতে প্রকৌশলী বদলি ও পদায়ন নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড

Passenger Voice    |    ১২:০৩ পিএম, ২০২৫-০৬-১৫


বিআরটিএতে প্রকৌশলী বদলি ও পদায়ন নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড

কামরুল হাসানঃ চলতি বছরের ঈদুল আজহার ছুটি চলাকালিন হটাৎ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তাদের মাঝে ঈদ আনন্দের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে পছন্দের সার্কেলে বদলি আদেশ। বিআরটিএর জন্মলগ্ন থেকে এই ধরণের কর্মকাণ্ড কখনো দেখেনি বিআরটিএর কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে বিআরটিএ থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম চন্দ্র পালকে বিআরটিএর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সুপারিশে অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১) পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো.ইয়াছিনকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে পদায়ন করেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিআরটিএর চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পরে শুরু করেন প্রশ্নবিদ্ধ বদলি বাণিজ্য। বাণিজ্য শেষে দায় চাপাতেন এই সরকারের উপর। যোগদান পরবর্তী সময়ে মো. ইয়াছিনের প্রধান টার্গেট ছিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সিএনএস কে রক্ষা করা। সিএনএস এর টাকায় বিআরটিএর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রিসোর্টে নিয়ে ভোজন বিলাস করাতেন তিনি। 

গত ১১ জুন ঈদের ছুটিতে প্রকাশিত হওয়া বিআরটিএর এক বদলি আদেশে দেখা যায় বিআরটিএ সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে বিআরটিএ চট্টমেট্রো-১ সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।  একই অর্ডারে কক্সবাজার সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলে বদলি করা হয়েছে,  এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিন কে চট্টমেট্রো- ২ সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।  উক্ত নম্বর: ৩৫.০৩.০০০০.০০১.১২.০০৮.২২-৯৩৫ নং স্মারকের আদেশটির তারিখ ও স্বাক্ষর ১৯ মে ২০২৫ তারিখের দেখানো হলেও বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে সেটা ১১ জুন করা হয়েছে।  এবং উক্ত আদেশে পছন্দের সার্কেলে বদলি নিতে মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও মো. মহসিন কে খরচ করতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা। তবে কক্সবাজার সার্কেলের মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ টাকা দিতে না পারায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাকে বদলি করা হয়। মামুনুর রশীদের বদলি নিয়ে চেয়ারম্যানের বদলি বাণিজ্যকে দুষছেন সবাই। এদিকে বিআরটিএর অনেক কর্মকর্তার দাবী বদলি আদেশটি ১৯ মে তারিখের। মোটরযান পরিদর্শকরা বদলি বাণিজ্যের টাকা পরিশোধে গড়িমশি করায় আদেশটি প্রশাসন শাখা প্রকাশ করেনি। 

এদিকে সূত্র বলছে, ২০২১ সালের ১২ মে বিআরটিএর নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.০৭৮.২০.২০১০ নং স্মারকের আদেশ মোতাবেক মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদকে নিয়োগ পরবর্তী বদলি প্রদান করা হয় বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেলে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ০৩ এপ্রিল নম্বর: ৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.০২৭.২১-৬৭৭ নং স্মারক মূলে মামুনুর রশীদকে বান্দরবান থেকে কক্সবাজার সার্কেলে বদলি করেন তবে একই আদেশে বান্দরবান সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয় তাকে। তবে অনেকের দাবী বান্দরবান ও কক্সবাজার সার্কেল বিআরটিএর বদলি নীতিমালার 'গ' ক্যাটাগরির সার্কেল হওয়ায় সেখানে ঘুষ বাণিজ্যের তেমন কোন সুযোগ ছিলনা। যার ফলস্বরূপ ঘুষ দিয়ে বদলি হওয়ার মতো টাকাও এই কর্মকর্তার নেই। ফলে ঘুষ দিয়ে পছন্দের সার্কেলে বদলি হওয়ারও সুযোগ নেই। 

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের দিকে বিআরটিএর বদলিতে লটারির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হতো। তবে সেটা বেশিদির ধরে রাখতে পারেনি এই চেয়ারম্যান।  ২০২১ সালের ০৫ ডিসেম্বরের ২০১০ নং স্মারকের আদেশে মোটরযান পরিদর্শক মো. রেজোয়ান শাহকে বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও+পঞ্চগড় সার্কেলে বদলি করেছিল, কায়সার আলমকে খাগড়াছড়ি সার্কেলে, অনিমেষ মন্ডলকে পিরোজপুর+ঝালকাঠি সার্কেলে ও সৈয়দ রাসেলকে ভোলা সার্কেলে বদলি করা হয়েছিল। লটারির মাধ্যমে বদলি করায় এইসব কর্মকর্তারা  পরবর্তীতে সকলে `ক' ক্যাটাগড়ির সার্কেলে বদলি হওয়ার সুযোগ পেলেও মামুনুর রশীদের ভাগ্য খুলেনি। বর্তমানে তারা সকলে ঢাকা,  চট্টগ্রাম ও যশোর সার্কেলের মতো `ক' ক্যটাগরির সার্কেলে দায়িত্ব পালন করছে। এই চেয়ারম্যানের শেষ সময়েও মামুনুর রশীদের আশা ছিল হয়তো ঘুষ বিহীন বদলি হতে পারবে তবে ১১ জুন প্রকাশিত বদলি আদেশ দেখে হতবাক হয়েছেন তিনি। 

এদিকে চলতি মাসের ৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হকের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঈদের ছুটির শেষ অফিসের দিনে  মো. ইয়াছিনকে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেন। ৪ জুন তারিখের নম্বর: ০৫.০০.০০০০.১৩০.১২.০০১.২৫-৫২৯ নং আদেশে তাঁকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১) পদে পদায়ন করা হয়। একইদিনে নম্বর: ০৫.০০.০০০০.১৩২.১৯.০০৫.২৫-৫৯৫ নং স্বারকের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল হায়াত মো: রফিক স্বাক্ষরিত আরেক আদেশে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দীন আহমেদ কে বিআরটিএর চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয়।  চেয়ার বাঁচাতে ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন দিকে দৌড়ঝাঁপ করলেও শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হবে মো. ইয়াছিন কে এই বিষয়টা অনেকটা নিশ্চিত। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সৎ ও দক্ষ ফারজানা মমতাজের আপন ভাই ও দক্ষ এবং নিষ্ঠাবান হিসাবে পরিচিত আবু মমতাজ সাদ উদ্দীন আহমেদ এর আদেশ বাতিল করাতে পাচ্ছেন না তিনি। তাই দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে আখের গোছাতে পাইকারি দরে পেছনের তারিখের স্মারক ব্যবহার করে বদলি আদেশ করছেন তিনি। 

চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিনের বদলি আদেশ হওয়ার পরে প্রকাশিত হওয়া ০৩ জুন তারিখের নম্বর -৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৩২.২৩.১০৯১ নং স্মারকের আদেশে দেখা যায় বিআরটিএ নরসিংদী সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) শেখ মো. ইমরানকে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলে বদলি করা হয়। একই আদেশে ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের ফিটনেস শাখার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে নরসিংদী সার্কেলে বদলি করা হয়েছে। একই দিনের আরেক আদেশে ৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৩২.২৩.১০৯২ নং স্মারকের আদেশে কে মো. সালাহউদ্দিনকে বিআরটিএর রাঙ্গামাটি সার্কেল থেকে চট্টমেট্রো-১ সার্কেলে বদলি করা হয়। 

এর আগেও বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেঃ ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ‍‍‌‌"বিআরটিএ'র বদলিতে তুঘলকি কাণ্ড, মোটা অঙ্কের লেনদেনে নীতিমালা ভঙ্গ" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্যাসেঞ্জার ভয়েস। বিআরটিএ'র বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পরে বিগত বছরের ১৪ অক্টোবর ১৬৭৭ নং আদেশ মূলে ১৫ জন সহকারী পরিচালককে বিভিন্ন সার্কেল থেকে বদলী করেন, তার মধ্যে আবু আশরাফ সিদ্দিকিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেল থেকে ঝিনাইদহ সার্কেলে বদলী করেন। ২৭ অক্টোবর তাদের সবাইকে অবমুক্ত ঘোষনা করে আরো একটি আদেশ দেয় চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ সার্কেলে যোগদান করে আবারও উক্ত আওয়ামীপন্থী আমলাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০ দিনের মাথায় ১৮ নভেম্বর বিআরটিএ'র ১৯৪৩ নং আদেশমূলে দেখা যায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে ৩০ লাখ টাকার বেশি সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ২০১৬ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিআরটিএ'র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আবু আশরাফ সিদ্দিকীকে সংস্থাটির ঝিনাইদহ সার্কেল থেকে সিলেট সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। তার বদলীর বিষয়টি নিয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমত হতবাক হয়েছেন সবাই। ৫ আগষ্টের পরেও আবু আশরাফরা কিভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে সেটাই আতঙ্কের বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে বিআরটিএর ময়মনসিংহ সার্কেল থেকে এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন যশোর সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর দায়িত্বে বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে ২৬ নভেম্বরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৭৬.২৪.১৯৮১ নং স্মারকের আদেশ মোতাবেক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেনকে বিআরটিএ ময়মনসিংহ সার্কেল থেকে যশোর সার্কেলে বদলি করেন এই চেয়ারম্যান। 

পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বর "চেসিস বিক্রি ও বডি তৈরির আগে ময়মনসিংহ বিআরটিএতে ঘুষে মেলে স্লিপার বাসের নিবন্ধন" শিরোনামে ময়মনসিংহ সার্কেলের সাবেক সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল খাবীরুর অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে প্যাসেঞ্জার ভয়েস প্রতিবেদন প্রকাশ করিলে চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন দায় এড়াতে তদন্তের নির্দেশ দিলেও আন্তরিকতা না থাকায় সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এখানে শেষ নয়, সাম্প্রতিক দেখা যায় চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৭৬.২৪-৩০৭ নং স্মারকের আদেশ মূলে বিআরটিএ সদর কার্যালয় কনডেমনেশন শাখার মোটরযান পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বাবর কে ময়মনসিংহ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। একই আদেশে ময়মনসিংহ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. হাফিজুল ইসলাম খানকে হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। বিআরটিএর বদলীর বিষয়টি স্বাভাবিক ও নিয়মিত কার্যক্রম। তবে প্রশ্ন তৈরি হলো কেন হাফিজুল ইসলামকে হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। 

বিআরটিএর নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, হাফিজুল ইসলামকে বদলী করে কৌশলে দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটাদাগে সুবিধা নিচ্ছে প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা। একদিকে কনডেমনেশন শাখায় দায়িত্ব পালন করা মোটরযান পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বাবরকে বদলী করে নিয়েছেন সুবিধা। অন্যদিকে হবিগঞ্জ সার্কেলে মোটরযান পরিদর্শকের ১টি পদ থাকার পরেও হাফিজুল ইসলামকে বদলী করে বিআরটিএ।

বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে হবিগঞ্জ সার্কেলে যোগদান করেন হাফিজুল ইসলাম খান। ২০২৪ সালের ০৭ নভেম্বর নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৩২.২৩-১৮৪৯ নং আদেশমূলে বদলী নীতিমালা মেনে ময়মনসিংহ সার্কেলে বদলী করা হয় তাকে। বদলীকালীন সময়ে এই মোটরযান পরিদর্শক অসুস্থতাজনিত ছুটিতে ছিলেন। 

বিআরটিএর প্রশাসন শাখা থেকে জানা যায় হবিগঞ্জ সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় মোটরযান পরিদর্শক মো. হাফিজুল ইসলাম খাঁন শারীরিক অসুস্থতাজনিত (জন্ডিস) কারণে ০৭.০৭.২০২৪ তারিখ থেকে ০৬.০৮.২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ৩১ দিন (অর্জিত) ছুটি মঞ্জুরের জন্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। কিন্তু সেই ছুটি মঞ্জুর হয়নি। 

পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ০১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ছুটির জন্য আবারও আবেদন করে হাফিজুল ইসলাম। ০৭ নভেম্বর তারিখের আদেশমূলে হাফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহ সার্কেলে যোগদান করে আবারও চিকিৎসাজনিত ছুটিতে চলে যায়। এরইমধ্যে ১১ ফেব্রুয়ারী তারিখের আদেশে তাকে আবারও হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়। 

এই বিষয়ে জানতে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিনকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি।