মাঠে কাজের অভিজ্ঞতা নেই

সব সিদ্ধান্তে হোঁচট খাচ্ছে বিআরটিএর চেয়ারম্যান

Passenger Voice    |    ০৯:০০ এএম, ২০২৫-০২-২৬


সব সিদ্ধান্তে হোঁচট খাচ্ছে বিআরটিএর চেয়ারম্যান

কামরুল হাসানঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন দীর্ঘ সময় মাঠ পর্যায়ে কাজ না করার ফলে সংস্থাটি পরিচালনায় হ য ব র ল করছেন। সারাদেশে গ্রাহক সেবা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, প্রায় ৩০ টি সার্কেল অফিসে নেই সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ)। কর্মকর্তা বদলীতে পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে করছে দেন দরবার। সংস্থাটির পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নেয়ার জায়গা থেকে সড়িয়ে রেখেছেন তিনি। বদলী, পদোন্নতি ও পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহনে গুরুত্ব পাচ্ছেন উপপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নবাব ফাহমে আজিজ। 

পরিচালক (প্রশাসন) কে ডিঙ্গিয়ে জুনিয়র কর্মকর্তারা যখন কাজ করছেন সেখানে ভেঙ্গে যাচ্ছে শৃঙ্খলা। সাম্প্রতিক দেখা যায় চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৭৬.২৪-৩০৭ নং স্মারকের আদেশ মূলে বিআরটিএ সদর কার্যালয় কনডেমনেশন শাখার মোটরযান পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বাবর কে ময়মনসিংহ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। এখই আদেশে ময়মনসিংহ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. হাফিজুল ইসলাম খানকে হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। বিআরটিএর বদলীর বিষয়টি স্বাভাবিক ও নিয়মিত কার্যক্রম। তবে প্রশ্ন তৈরি হলো কেন হাফিজুল ইসলামকে হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। 

বিআরটিএর নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, হাফিজুল ইসলামকে বদলী করে কৌশলে দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটাদাগে সুবিধা নিচ্ছে প্রশাসন শাখার দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তা। একদিকে কনডেমনেশন শাখায় দায়িত্ব পালন করা মোটরযান পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বাবরকে বদলী করে নিয়েছেন সুবিধা। অন্যদিকে হবিগঞ্জ সার্কেলে মোটরযান পরিদর্শকের ১টি পদ থাকার পরেও হাফিজুল ইসলামকে বদলী করে মোশারফ হোসেন এর কাছ থেকে  সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কৌশলগত এইসব দুর্নীতি বুঝতে পারছেন না বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন। 

বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে হবিগঞ্জ সার্কেলে যোগদান করেন হাফিজুল ইসলাম খান। ২০২৪ সালের ০৭ নভেম্বর নম্বর-৩৫.০৩.০০০০.০০১.১৯.১৩২.২৩-১৮৪৯ নং আদেশমূলে বদলী নীতিমালা মেনে ময়মনসিংহ সার্কেলে বদলী করা হয় তাকে। বদলীকালীন সময়ে এই মোটরযান পরিদর্শক অসুস্থতাজনিত ছুটিতে ছিলেন। 

মোটরযান পরিদর্শক মোশারফ হোসেন যেভাবে সুবিধা দিতে বাধ্য হচ্ছেনঃ বিআরটিএর প্রশাসন শাখা থেকে জানা যায় হবিগঞ্জ সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় মোটরযান পরিদর্শক মো. হাফিজুল ইসলাম খাঁন শারীরিক অসুস্থতাজনিত (জন্ডিস) কারণে ০৭.০৭.২০২৪ তারিখ থেকে ০৬.০৮.২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ৩১ দিন (অর্জিত) ছুটি মঞ্জুরের জন্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। কিন্তু সেই ছুটি মঞ্জুর হয়নি। 

পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ০১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ছুটির জন্য আবারও আবেদন করে হাফিজুল ইসলাম। ০৭ নভেম্বর তারিখের আদেশমূলে হাফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহ সার্কেলে যোগদান করে আবারও চিকিৎসাজনিত ছুটিতে চলে যায়, বর্তমানেও ছুটিতে রয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে ১১ ফেব্রুয়ারী তারিখের আদেশে তাকে আবারও হবিগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হয়। এতে মোশারফ হোসেন পরে যায় বিপাকে। দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। এমন সময় প্রশাসন শাখা তাকে বিআরটিএর সিলেট সার্কেলে অথবা ঢাকা মেট্রো-৩ সার্কেলে বদলী করে দিবে মর্মে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাচ্ছে। 

বিস্তারিত আসছে.....