অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সেবাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিআরটিএ, ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা পর্ব-০১

Passenger Voice    |    ১০:৫০ এএম, ২০২৪-১১-১৪


খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিআরটিএ, ভেঙ্গে পড়েছে নাগরিক সেবা পর্ব-০১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিআরটিএ’তে চলমান নোয়াখালী সিন্ডিকেটের তান্ডব এখনও বন্ধ হচ্ছে না। এতগুলো বছর ধরে অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য , সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্যাতন ও জিম্মি করে টাকা আদায়, সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণসহ ডজনখানেক অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’তে নিয়োগ নেয়া নোয়াখালী জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বিআরটিএ’র নিয়ন্ত্রণ ছিল নোয়াখালী জেলার সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে। সেই সময়ে  বিআরটিএ'তে যোগদান করা নোয়াখালী জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ১৬ বছর ধরে বিআরটিএ'র গুরুত্বপূর্ণ সার্কেল অফিস গুলোতে বদলী হয়ে সব ধরনের অপকর্ম চালিয়েছেন। 

গত ০৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়, এখনও কোন খোঁজ নেই ওবায়দুল কাদেরের। ওবায়দুল কাদেরের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম চন্দ্র পালকে সংস্থাটির চেয়ারম্যানও করেছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে ওএসডি করা হয়েছে। তবে এখনও বিআরটিএতে ওবায়দুল কাদেররের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন নোয়াখালী সিন্ডিকেটের আর্শিবাদে বিআরটিএতে বদলী হয়ে আসা পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নবাব ফাহমে আজিজ খান। নোয়াখালী সিন্ডিকেটকে সকল ধরণের তথ্য সরবরাহ করে তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন এই কর্মকর্তাগণ। ৫ আগষ্টের পরে সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল ও নবাব ফাহমে আজিজ খান মিলে বিআরটিএ’তে নির্যাতন চালানো নোয়াখালী সিন্ডিকেটের সকলকে নিরাপদে চট্টগ্রাম বিভাগে বদলী করেছিলেন। এখনও ঢাকা চট্টগ্রামে বেশ কিছু সদস্য বহাল তবিয়তে আছে। এই সিন্ডিকেট থেকে মাসিক মাসোহারা যায় নবাব ফাহমে আজিজ খান এর কাছে এমন তথ্য বিআরটিএ’র অনান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে রয়েছে।

বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন সংস্থাটিতে নতুন হওয়ায় কৌশলে এই দুইজন ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে আদেশ জারি করিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে একটি আতঙ্ক ছড়াছে। এখই সাথে বিভিন্ন সার্কেল অফিসে নাগরিক সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পদ খালি রেখে সেইসব জেলায় সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে উত্তপ্ত ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। 

বিআরটিএ’র সাম্প্রতিক সময়ের ৩ টি বদলী আদেশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিআরটিএ’র নাগরিক সেবাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সার্কেল অফিস গুলোর কর্তা ব্যক্তিদের গত ২৭ অক্টোবর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেইসব জেলা শহর গুলোতে জনগুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা প্রদান গত ১৫ কর্মদিবসে প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। বিআরটিএ তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সেবা প্রদানের বিষয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষদের। এতে বিআরটিএ’র উত্তপ্ততা ছড়াতে চায় অনেকে।

গত অক্টোবরের ১৪ তারিখে ১৬৭৭ নং স্বারকের অফিস আদেশ মূলে বিআরটিএ যশোর সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এস এম মাহফুজুর রহমানকে ঝালকাঠি সার্কেলে বদলী করা হয়েছে, একই আদেশে খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) তানভীর আহমেদকে বিআরটিএ বিভাগীয় অফিস, রাজশাহীতে, সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মো. রিয়াজুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম সার্কেলে বদলী করা হয়। একই আদেশে ১৫ জন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ)কে বদলী করা হয়েছিল। তবে ছোট এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সার্কেল গুলোতে সাথে সাথে নতুন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) পদায়ন করা হলেও সবচেয়ে আলোচিত যশোর, সিলেট, খুলনা সার্কেলে এখনও সহকারী পরিচালক দেয়া হয়নি। শুধু এখানে শেষ না, একই দিনে ১৬৭৬ নং স্বারকের আরেকটি আদেশ মূলে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০১ ও চট্টগ্রাম মেট্রো-১ সার্কেলের উপ-পরিচালক (ইঞ্জিঃ), রফিকুল ইসলামকে বরিশালে ও তৌহিদুল হোসেনকে ময়মনসিংহ সার্কেলে বদলী করে এখনও পর্যন্ত নতুন কোন কর্মকর্তা প্রদায়ন করা হয়নি। 

বিআরটিএতে ৬৫% মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশন হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রামে। সেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫ দিন উপ-পরিচালক (ইঞ্জিঃ) পদায়ন না করার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে করছেন অনেকে। সিলেট, যশোর ও খুলনায় ও প্রায় ১ হাজারেরও বেশি গ্রাহক মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশন গ্রহন করতে এসে সেবা বঞ্চিত হয়েছে গত ১৫ দিনে। ৫ হাজারের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টের জন্য সহকারী পরিচালকের এপ্রুভের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। যে কোন সময় বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সার্কেল অফিস গুলোতে হট্টগোল হতে পারে বলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন। 

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন খুলনা বিভাগ যেহেতু আওয়ামীলীগের আঁতুড়ঘর সেহেতু যশোর ও খুলনা সার্কেলে নাগরিক সেবা প্রদানে বঞ্চিত হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে আওয়ামী পন্থিরা একটি হট্টোগোল সৃষ্টি করতে পারবে, এইটাকে আওয়ামী এজেন্ডা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইমলাম চৌধুরী ও নবাব ফাহমে আজিজ খানকে দোষছেন সবাই। আর সিলেট বিআরটিএ’র বিষয়েতো এমনিতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত, এর আগে বেশ কয়েকবার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল । সেই সার্কেল আজ ১৫ দিন যাবৎ নাগরিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

বিআরটিএর খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জিঃ) জিয়াউর রহমান প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, আমি খুলনা ও যশোর সার্কেলে নতুন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) পদায়ন করার বিষয়ে সদর কার্যালয়কে কয়েকবার জানিয়েছি। খুব দ্রত পদায়ন করা হবে বলে সদর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে। 

এদিকে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে চট্টমেট্রো-০১ সার্কেল ও ঢাকা মেট্রো-০১ সার্কেলে এখনও কোন উপ-পরিচালক (ইঞ্জিঃ) দেয়া হয়নি। বিষয়টিকে অনেক পরিবহন নেতারা দুর্ভিসন্ধি হিসেবে দেখছে। 

প্যাসেঞ্জার ভয়েসের অনুসন্ধান বলছে, বর্তমানে যশোর, খুলনা, সিলেট, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ, নোয়াখালী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলায় বিআরটিএ সার্কেল গুলোতে কোন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) নেই। পাশের জেলা থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই সার্কেল গুলোর কার্যক্রম। ফলে সহকারী পরিচালকগণ একজেলা থেকে অন্য জেলায় দৌঁড়ঝাপ করতে করতে দুই জেলায় সেবা প্রদানে হ য ব র ল করে ফেলছেন। 

এদিকে বিআরটিএ‘র কাঠামো অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের সার্কেল অফিস গুলোতে প্রায় ২০ এর অধিক মোটরযান পরিদর্শকের পদ শুণ্য রয়েছে, সেই বিষয়েও প্রশাসন শাখা উদাসিন, অদৃশ্য কারণে পূর্বের শাষনামলের মতো মোটরযান পরিদর্শকদের সদর কার্যালয়ে বদলী করে পছন্দের সার্কেলে বদলী করার সুযোগ খুঁজছে বলে অভিযোগও করছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোটরযান পরিদর্শকগণ। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রো-০১ সার্কেলে ৪ জন মোটরযান পরিদর্শকের শূন্যপদ থাকলেও সেখানে একজনও নেই। বর্তমানে নেই উপ-পরিচালক (ইঞ্জিঃ)ও। একজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ)  দিয়ে কোন রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাজ চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

এছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম মেট্রো-২, চট্টমেট্রো-১, নোয়াখালী, চাঁদপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, মেহেরপুর, যশোর, বগুড়া, পঞ্চগড়, বরিশাল ও রাজবাড়ীতে প্রায় ১৯ টি মোটরযান পরিদর্শকের পোষ্ট খালী রয়েছে। অথচ প্রশাসন শাখা নাগরিক সেবা সচল করার বদলে ৭ জন মোটরযান পরিদর্শককে সদর কার্যালয়ে, ৫ জন মোটরযান পরিদর্শককে বিভাগীয় অফিস গুলোতে বদলী করে রেখেছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে নাগরিক সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিআরটিএ’কে।

বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা বলছে, সদর কার্য়ালয়ে মোটরযান পরিদর্শকদের হাওয়া খাওয়া ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। শুধু মাত্র প্রধান উপদেষ্টার পরিবহন পুলের দায়িত্ব, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের দায়িত্ব পালন করা, সিকেডি শাখার গাড়ী পরিদর্শন, টাইফ এপ্রুভেল প্রদানে শুধু মাত্র মোটরযান পরিদর্শক দরকার হয়। এই কাজ গুলো সমাধানে ২ জন মোটরযান পরিদর্শক এর বেশি দরকার হয়না। সিকেডি শাখায় দীর্ঘদিন ধরে মোটরযান পরিদর্শক আবু পলাশ কাজ করছেন। তার সাথে সদর কার্যালয়ে রয়েছে নুর মোহাম্মদ তোহা নামের আরেক মোটরযান পরিদর্শক । তারা দুইজন বেশ দক্ষ। এবং তাদের এখনও তিন বছর হয়নি এইকাজে, ফলে সাম্প্রতিক বদলী হওয়ারও কোন সুযোগ নেই। এই মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুর থেকে বছর খানেক আগে মোটরযান পরিদর্শক ওহিদুর রহমানকে সদর কার্যালয়ে বদলী করে আনা হয়। এই তিনজনকে দিয়ে ভালই চলছে বিআরটিএ। 

তারমধ্যে নতুন করে মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহম্মেদ, তাজুল ইসলাম, তানভীর আহম্মেদ, সাবিকুন নাহার সদর কার্যালয়ে কোন দপ্তরে কাজে লাগাবে বিআরটিএ সেটাও স্পষ্ট নয় কর্মকর্তাদের কাছে। 

এছাড়া ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে, মোটরযান পরিদর্শক তীর্থ প্রতিম বড়ুয়া, ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিসে আনিসুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় অফিসে ফয়সার হাসান, সিলেট বিভাগীয় অফিসে জিল্লুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় অফিসে কামরুজ্জামান পদায়ন করে রাখা হয়েছে। এইসব কর্মকর্তারা সার্কেল অফিসে গ্রাহক সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারতো।

এদিকে কর্তৃপক্ষ ৭ জন মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মোটরযান পরিদর্শক পদে পদোন্নতি দিতে চাচ্ছে। তাদের মধ্যে সাজ্জাদুর রহমান, সাব্বির আহম্মেদ, সফিকুল ইসলাম রাসেল, মীর্জা মাহমুদুর রশিদ, মোশাররফ হোসেন, মারুফ হোসেন ভঁইয়া, ফারদিন খান, রকিবুর রহমান ভুঁইয়া রয়েছেন। 

বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা বলছে, ফয়সাল হাসানকে নওগাঁ সার্কেলের অতিঃ দায়িত্ব প্রদানের পরে তাকে আবার মোটরযান পরিদর্শকের স্বপদে বদলী করা সেটা তার জন্য লজ্জাজনক মনে করছেন অনেকে। তাই তাকে রংপুর বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। 

এদিকে সিনিয়র কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে জুনিয়র মোটরযান পরিদর্শকদের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা। এই দায়িত্ব প্রদানের কারণে ২০২১ সালে মোটরযান পরিদর্শক পদে যোগদান করা মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ আফতাবুল ইসলাম, ২০১৫ সালে যোগদান করা তাজুল ইসলাম ও ২০১৮ সালে পদোন্নতি পেয়ে মোটরযান পরিদর্শক হওয়া মো. নাসিরুল আরিফিনকে পদাধিকারবলে স্যার সম্মোধন করতে হবে সিনিয়র মোটরযান পরিদর্শকগণকে। এমন অর্ডার হওয়ায় বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

সিনিয়র জুনিয়রদের সম্মানের বিষয় বিবেচনা করে যোগ্যতার বাহিরে অতিরিক্ত দায়িত্ব না দিয়ে রুটিন দায়িত্ব প্রদানের একটা প্রক্রিয়া ছিল বিআরটিএ’তে। যার নমুনা হিসেবে বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালকে ওএসডি করার সময় পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান না করে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করেছিল সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগ। 

এই বিষয়ে বিআরটিএর মুখপাত্র পরিচালক (রোড সেইফটি) মাহবুব রাব্বানি প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, বিআরটিএর বদলী ও দায়িত্ব বন্টনের বিষয়টি প্রশাসন শাখা দেখভাল করেন। আমি বিষয়টি প্রশাসন শাখাকে অবগত করিব। 

এই বিষয়ে জানতে বিআরটিএ’র পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম চৌধুরীর সরকারী মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।