শিরোনাম
মো. মহসিনের মামলার ধারা পরিবর্তনের চক্রান্তের বিষয়টি আমি আদালতের নজরে আনবোঃ মিঠু রানী পাল
Passenger Voice | ১১:৪৬ পিএম, ২০২৪-০৯-০৭
এইচ এম হোসাইনঃ গাড়ি না দেখেই ফিটনেস সনদ দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বহু পুরোনো এ অভিযোগ এবার হাতেনাতে আবারও প্রমাণ হয়েছে সংস্থাটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ে । গত ০৭ জুলাই রাতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জগমোহনপুর এলাকায় যে ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো- ট-১৪-৭৮৫৮) চাপায় বাংলাদেশ পুলিশের চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই মিঠু রানী পালের স্বামী প্রসাদ কর্মকার সুমন মারা যায়, সেই গাড়ি পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায়ই ফিটনেস সনদ দেওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর "দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি থানায় আটক, ঘুষ নিয়ে ফিটনেস দিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ" শিরোনামে প্যাসেঞ্জার ভয়েস প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও টনক নড়েনি বিআরটিএ’র। সংস্থাটি বলছে এই গাড়িটির যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন গাড়িটির ফিটনেস সনদ এর মেয়াদ ছিল না। গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী শেষ হয়ে যায়। ০৭ জুলাই যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ ছিল না।পরবর্তীতে গাড়িটির মালিক পক্ষ মোটাদাগে টাকা দিয়ে ২১ আগষ্ট মোটরযানটি পরিদর্শন না করে ফিটনেস সনদ প্রদান করেছেন। প্যাসেঞ্জার ভয়েস প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ০৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাড়িটি মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা থেকে বের করে নিয়ে যান মালিক পক্ষ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের এক সিনিয়র আইনজীবি ঘটনার বিষয়ে প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, গাড়ির কাগজ হালনাগাদ না থাকলে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ৩০২ ধারায় হত্যা মামলার সুযোগ রয়েছে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির কাগজ ঠিক থাকলে ৩০৪ (খ) ধারায় মামলা হয়। এ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড। ফলে মামলা হালকা করতেই দুর্ঘটনার পর কাগজ হালনাগাদের চেষ্টা করা হয়। আদালতে ন্যায় বিচার থেকে ভিকটিমের পরিবারকে বঞ্চিত করতে বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তারা মোটাদাগে ঘুষ নিয়ে মোটরযান গুলোর বৈধতা (ফিটনেস সনদ) নবায়ন করে থাকে। দুর্ঘটনার পরে ফিটনেস সনদ নবায়ন করে বিআরটিএ থেকে দুর্ঘটনা প্রতিবেদন গ্রহণ করে মালিক। বিআরটিএ সেই প্রতিবেদনে ফিটনেস সনদ আপডেট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিআরটিএ’র এই ধরণের কর্মকাণ্ড হচ্ছে লাশ বিক্রি করে টাকা কামানোর মতো।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জগমোহনপুর এলাকায় যে ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো- ট-১৪-৭৮৫৮) দুর্ঘটনা হয়েছে সেটার ফিটনেস প্রদানের মাধ্যনে ভিকটিমের পরিবারকে আদালতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিন।
তবে মামলার বাদী মিঠু রানী পাল প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, আমি বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিনের এমন কর্মকান্ড ও মামলার ধারা পরিবর্তনের চক্রান্তের বিষয়টি আমি আদালতের নজরে আনবো। এবং বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শককেও এই মামলার আসামী করার বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
এছাড়াও গাড়িটি দুর্ঘটনার সময় চাকা ক্রটিযুক্ত ছিল। ফিটনেস প্রদানের সময় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির ১১১ টি সুপারিশের মধ্যে ৫৮.৩ ধারায় গাড়ির চাকার ট্রেড (খাঁজ) এর গভীরতা ১.৬ মিলিমিটারের কম হলে কোন ভাবে ব্যবহার না করার জন্য গত ২০২২ সালের ০৭ জুন ৩৫.০৩.০০০০.০৮.৪০.৬৪.১৯(অংশ-১)/২১-১৩৭ নং আদেশমূলে বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মাহবুব-ই-রব্বানী নির্দেশ প্রদান করেছেন। তবে উক্ত গাড়িটি ফিটনেস প্রদানে সেই নির্দেশনা মেনে চললে হয়তো এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএ রশিদ সরকার বলেন, ফিটনেস পরীক্ষার প্রক্রিয়ার ধাপগুলোই যদি তাড়াহুড়ো করে সম্পন্ন করা হয়, সেক্ষেত্রে এ পরীক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। দায়সারা পরীক্ষায় ফিটনেস সনদ পাওয়া এসব যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকবে।
আইন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক গাড়ি প্রতিবছর বিআরটিএর যে কোনো সার্কেলে নিয়ে ফিটনেস হালনাগাদ করতে হয়। গাড়ি না দেখে ফিটনেস সনদ দেওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিযোগ, গাড়ি না দেখেই টাকার বিনিময়ে মোটরযান পরিদর্শকরা ফিটনেস দেন। বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এর ভাগ পান।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় ছয় বছর বয়সী সন্তান সানজিদাসহ জাহাঙ্গীর আলম ও রত্না বেগম নিহত হন। ধাক্কায় সাড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রত্নার পেট ফেটে সড়কে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার সময় উক্ত ট্রাকের ফিটনেস সনদের মেয়াদ ছিল না। এই দুর্ঘটনায়ও মামলার ধারা পরিবর্তনের জন্য দুর্ঘটনার ১১ দিন পরে বিআরটিএর নারায়নগঞ্জ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ তোয়াহা ফিটনেস প্রদান করেন। সেই ঘটনায় তোয়াহাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ২৪ জুলাই বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বিআরটিএ’র সব বিভাগীয় পরিচালককে সার্কেলগুলো নিয়মিত ফিটনেস প্রদানের বিষয়ে পরিদর্শন করতে চিঠি দিয়েছিলেন। এবং এই ধরণের ঘটনা কোন সার্কেলে ঘটলে বা ফিটনেস প্রদানে অনিয়ম হলে সংশ্নিষ্ট পরিচালককে জবাব দিতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিএ’র চট্টগ্রাম বিভাগ পরিচালনায় কোন ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়না চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মাসুদ আলম। তবে এবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে মো. মহসিন।
তবে বাস্তবতাকে আমলে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে সত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দুর্নীতিকে সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে খোদ সংস্থাটির প্রশাসন বিভাগের বিরুদ্ধে। এতে দুর্নীতির বিষয়ে সরকার ঘোষিত শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার বাস্তবায়নেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন পরিবহন বিশেজ্ঞরা।
বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সময়ে বিআরটিএ’র যে কোন ধরণের অনিয়ম হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন সেইসব কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে। সাবেক এই চেয়ারম্যান প্রায় ১৫ এর অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। পরিদর্শন না করে ফিটনেস প্রদানের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করেছেন ৩ জন মোটরযান পরিদর্শককেও।
এই বিষয়ে আজ ৯ সেপ্টেম্বর বিআরটিএর চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল প্যসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিনের গাড়ি পরিদর্শন না করে ফিটনেস সনদ নবায়নের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মাসুদ আলমকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রশাসন শাখা বিষয়টি যাচাই বাছায় করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ধরণের ঘটনায় আদালতে মামলার রায় পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভিকটিম আদালতে ন্যায় বিচার বঞ্চিত হবে এমন কোন দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ফিটনেস সনদ নবায়ন বা দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিআরটিএর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ে গাড়ির কাগজপত্রের কাজ নিয়ম মেনে করতে গেলেই বিপদ। গ্রাহককে দেখতে হয় ‘ঘুঘুর ফাঁদ’, পড়তে হয় দীর্ঘমেয়াদি চক্করে। সরকারি ফি মেটানোর পর টাকা ওড়ালেই মেলে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’। গ্রাহকের পকেট কাটতে ঘাটে ঘাটে প্রস্তুত দালাল। কাজের ধরন বুঝে দরকষাকষি। প্যাকেজ হিসেবে চুক্তি। এরপর গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন, কাগজপত্র নবায়ন– সবকিছুই পানির মতো সহজ!
দালাল ছাড়া কাজ সারতে গেলেই গ্রাহকের অভিজ্ঞতা হয় উল্টো। গ্রাহক নিজে গেলেও কাগজপত্র ত্রুটির অভিযোগ তুলে ঘুষ দাবি করেন বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিন ও অফিস সহকারী কিংবা সংশ্লিষ্ট শাখার মৌখিক নিয়োগে কর্মরত কর্মীরা (গেটিস)। টাকা না দিলেই বাড়ে হয়রানি। কাজভেদে গুনতে হয় বিভিন্ন সংখ্যার টাকা। বড় কর্তারা গ্রাহকের কাছে সরাসরি টাকা দাবি না করলেও ঘুষের ভাগ ঠিকই পৌঁছে যায় তাদের পকেটে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বোকা বানাতে ‘ঘুঘুর ফাঁদঃ গাড়িটি ফিটনেস প্রদানের ঘটনায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল এখনও কোন ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাঁকে বোকা বানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আশ্রাফ সিদ্দিকী মান্নান ঘুঘুর ফাঁদ তৈরি করে মনগড়া এক গল্প বানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে পত্র পাঠিয়েছেন । এমন একটি চিঠি প্যাসেঞ্জার ভয়েসের হাতে এসেছে।
পত্রে উল্লেখ করেছেন, ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৭৮৫৮ গাড়িটি চলতি বছরের ২৪ জুন ফিটনেস সনদ নবায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংক, কুমিল্লা শাখায় সরকারী ফি জমা প্রদান করেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে ঐ সময় গাড়িটির ফিটনেস প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ০৪ জুলাই উক্ত কার্যালয়ে ফিটনেস সনদ নবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিন সরেজমিনে গাড়িটি পরিদর্শন করেন তবুও অ্যাপয়েন্টমেন্ট সমস্যার কারণে ফিটনেস প্রদান সম্ভব হয়নি। এরপর ১৮-১৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর বনানীস্থ প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের কারণে বিআরটিএ ভবনে স্থাপিত সার্ভার ও আইএস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবং ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত ফিটনেস নবায়ন বন্ধ থাকে। পরে গত ২১ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে পুনরায় গাড়িটির অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে অফিসে গাড়ির মালিক হাজির হলে মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিনের ফিটনেস সনদ ইস্যু করেন।
বিআরটিএর একজন উপপরিচালক প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কোন গাড়ির ফিটনেস প্রদানের জন্য পরিদর্শন করার কোন নিয়ম বর্তমানে নেই । ০৪ জুলাই যেহেতু গাড়িটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেনি সেহেতু কেন গাড়িটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলে মালিক হাজির করবে। আর জরিমানা মওকুফের সময়তো ৩০ জুন শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যে কোন সার্কেল থেকে গাড়ির ফিটনেস নবায়ন করা যায় তাহলে গাড়িটি কেন মো. মহসিনের জন্য বসে থাকবে। তবে এই উপ-পরিচালকের ধারণা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিআরটিএ ও মালিকপক্ষ ০৪ সেপ্টেম্বর গাড়িটি দ্রুত থানা থেকে বের করে নিয়ে যায়। এবং প্রাথমিক মেরামত করে গাড়ির সামনে পরিদর্শনের ছবি তুলে বিআরটিএর তদন্ত কর্মকর্তাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে। তবে মোটরযান পরিদর্শকের বক্তব্য অনুযায়ী যে বিআরটিএ’র আইএস সার্ভারে ০৪ জুলাই গাড়ি পরিদর্শনের কোন আবেদন বা অ্যাপোয়েন্টম্যান্ট নেই সেহেতু মোটরযান পরিদর্শক মো. মহসিরে কোন চক্রান্ত তদন্তে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত