শিরোনাম
Passenger Voice | ০৪:৩০ পিএম, ২০২৪-০২-০৫
রাজধানীর বাড্ডায় আফতাবনগর হাউজিং এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অন্যায়ভাবে মামলা দিয়েছে’ অভিযোগ তুলে নিজের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মো. রাসেল মিয়া নামের এক যুবক। মোটরসাইকেল পোড়ানোর দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সেটি ভাইরাল করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল হিরো’ হতে রাসেল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নিজের পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সেই দৃশ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তিনি ২০০ ডলার (প্রায় ২২ হাজার টাকা) আয় করেন।
রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে তাঁর এক বন্ধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রাসেল সেই মামলার স্লিপ দেখিয়ে নিজের পাঁচ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেলে আগুন দেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মোটরসাইকেলের ভিডিও দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ই মূলত ইউটিউবার। তাঁরা একটা গ্রুপ নিয়ে নিয়মিত দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালান। তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা তাঁর (রাসেল) বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তিনি ভিডিওতে যে মামলার তথ্য দিয়েছেন, আসলে এমন কোনো ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটেনি। ফুয়াদ নামে তাঁর এক বন্ধুর মামলার কপি দেখান তিনি। বিপজ্জনকভাবে মোটরসাইকেল চালানো, সিগন্যাল অমান্য করা এবং অবৈধ উচ্চ শব্দের যন্ত্র সংযোজনের দায়ে ফুয়াদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিল।’
ডিবি জানায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী মা–বাবার সন্তান রাসেল মিয়া। তিনি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাসেল ওরফে জুনিয়র টাইগার শ্রফ পরিচয় দিতেন। এই নামে তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবে অন্যের বানানো নানা ধরনের কনটেন্ট পোস্ট করতেন, যার বেশির ভাগই অর্থহীন, অশালীন ও দেশের আইনবিরোধী।
ডিবি আরও জানায়, রাসেল মিয়া ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশোনা করেননি। মাঝে কিছুদিন ভারতে গিয়ে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে জুনিয়র টাইগার শ্রফ পরিচয় দিতেন। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে নানা স্ট্যান্টসহ বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তেন। এতে তাঁর সামান্য আয় হতো। আয় বাড়াতে বাইকে আগুন দেওয়ার কাজটি করেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত