বাংলায় ‘এমআর-৯’ দেখা যাবে ২৭ প্রেক্ষাগৃহে

Entertainment desk    |    ০৪:০৬ পিএম, ২০২৩-০৯-০১


বাংলায় ‘এমআর-৯’ দেখা যাবে ২৭ প্রেক্ষাগৃহে

কালজয়ী গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘এমআর-৯’ মুক্তি পেয়েছে গেলো ২৫ আগস্ট। তবে প্রথম সপ্তাহে কেবল ইংরেজি ভাষায় দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে এটি দেখানো হয়েছে। বাংলা ভার্সনের সেন্সর বিলম্বের কারণে সিঙ্গেল স্ক্রিনে তথা প্রান্তিক অঞ্চলে ছবিটি মুক্তি দিতে পারেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।

অবশেষে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলায় আসছে ‘এমআর-৯’। সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও। এই সপ্তাহে দেশের ২৭টি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ছবিটি। তালিকাসহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। 

ঢাকার মধ্যে সাতটি হলে চলবে ছবিটি। এগুলো হলো- স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা শপিং মল ও সনি স্কয়ার), ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, আনন্দ সিনেমা, বিজিবি সিনেমা ও সৈনিক ক্লাব।

‘এমআর-৯’ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। ছবির অভিনয়েও আছেন হলিউডের কয়েকজন শিল্পী। তাই ২৫ আগস্ট উত্তর আমেরিকায় ১৫১ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবিটি। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া জাগাতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেখানকার কতগুলো হলে ছবিটি চলবে, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো।

এদিকে বাংলাদেশেও আশার আলো দেখছে না সিনেমাটি। প্রথম সপ্তাহে রীতিমতো ধুঁকে ধুঁকে চলছে এটি। অধিকাংশ শোর আসনগুলো পড়ে ছিল ফাঁকা। হল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও মিলেছে নিরাশার বার্তা। 

তবে ছবির সংশ্লিষ্টদের মতে, ইংরেজি ভাষার কারণে দর্শকের বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। সেই সমস্যা কেটে যাবে এবার। ফলে বাংলা ভার্সনে দর্শক বাড়বে বলেই প্রত্যাশা করছেন তারা। 

‘এমআর-৯’ পরিচালনা করেছেন আসিফ আকবর। এটি নির্মিত হয়েছে কাজী আনোয়ার হোসেন রচিত মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ‘ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার দাবি অনুসারে, ছবিটির বাজেট ৮৩ কোটি টাকা। ছবিটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা, টাইগার রবি; ভারত থেকে আছেন সাক্ষী প্রধান, ওমি বৈদ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিনয় করেছেন নিকো ফস্টার, মাইকেল জেই হোয়াইট, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ। 

জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে এর প্রযোজনায় রয়েছে আল ব্রাভো ফিল্মস ও চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস।