দেশে গাড়ির বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকার

Passenger Voice    |    ০৩:৩৮ পিএম, ২০২২-০৬-২৩


দেশে গাড়ির বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকার

দেশে বাড়ছে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। এ শিল্পের বাজার দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর সড়কগুলোতে এখন অনেক হাইব্রিড গাড়ি চলতে দেখা যায়। গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহার কমানোর পর এই গাড়ির চাহিদাও বেড়েছে।

তুলনামূলক কম জ্বালানির ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় হাইব্রিড গাড়ির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২০০০ সিসির বেশি হাইব্রিড ও নন-হাইব্রিডগুলোতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের বাজারে মূলত হাইব্রিড গাড়ি ১৫০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২০০০ সিসির ওপরের গাড়িগুলো মূলত উচ্চাভিলাষী। হাইব্রিড গাড়িগুলোর মধ্যে বেশি চলছে ১৫০০-২০০০ সিসির গাড়ি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ২০০০ সিসির ওপরের গাড়িগুলোতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে এবার উচ্চ-মধ্যবিত্তদের গাড়িগুলোতে শুল্কের প্রভাব পড়বে না।

সাধারণত দেশে নতুন ও রিকন্ডিশন্ড এ দুই ধরনের গাড়ি বিক্রি হয়। তবে দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির রিকন্ডিশন্ড গাড়িই বেশি পছন্দ। তবে ইদানীং নতুন গাড়ির প্রতিও আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। বর্তমানে গাড়ির বাজারে ৭৫ শতাংশের মতো দখল করে এই রিকন্ডিশন্ড গাড়ি।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক ও পরিবেশক সমিতির (বারভিডা) সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে নতুন ও রিকন্ডিশন্ড ব্যক্তিগত গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। বছরে প্রায় ২৫ হাজার রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি হয়। বর্তমানে নতুন ও রিকন্ডিশন্ড মিলিয়ে গাড়ির বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার। বছরে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১৫ শতাংশ। বাজারের ২৫-৩০ শতাংশ নতুন গাড়ির দখলে রয়েছে। এখন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে এলসি মার্জিন সর্বনিম্ন ৭৫ শতাংশ করায় এখন গাড়ি আমদানিকারকদের বাধ্য হয়ে গাড়ি আমদানি কমিয়ে দিতে হবে। এতে গাড়ি ব্যবসা খাতের পরিসর কমে আসবে এবং গাড়ির দাম বেড়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে ২০০০ সিসির ওপর হাইব্রিড গাড়িতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সরকারের কাছে অনুরোধ হাইব্রিড গাড়ির ওপর যেন শুল্ক তুলে নেওয়া হয়। ’

দেশের বাজারে টয়োটা ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সিইও ওয়াহেদ আজিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে গাড়ির বড় মার্কেট এখনো রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দখলে। তবে নতুন গাড়ির বিক্রিও বাড়ছে। দেশের বাজারে প্রথম হাইব্রিড গাড়ি এনেছি আমরাই। বর্তমানে হাইব্রিড গাড়ির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। হাইব্রিড গাড়ি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে মানুষ হাইব্রিড গাড়ির দিকে ঝুঁকছে। ’

গতকাল বুধবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন গাড়ির শোরুম ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ২০০০ সিসির ওপরে গাড়িতে নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব গাড়ির বাজারে এরই মধ্যে পড়ে গেছে।

প্রগতি সরণি বারিধারায় এএসআর অটোকারের ম্যানেজার মো. আল আমিন হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মূলত প্রস্তাবিত বাজেটে গাড়ির শুল্ক বাড়ানো বা কমানোর প্রস্তাব করার পর থেকেই সেটি বাস্তবায়ন করা হয়।