ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় ৭ যুবক গ্রেপ্তার

Passenger Voice    |    ০৭:০৮ পিএম, ২০২১-১২-১৮


ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় ৭ যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত সাত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তাদের শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের আমলি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।

জামাল পাশা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় নির্মাণাধীন আমজাদ সরদারের জুট মিল মাঠ এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বিতর্কিত বক্তা আবু ত্বহা ওয়াজ করবেন বলে মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে কোতোয়ালি থানার এক অফিসারকে পাঠানো হয় এবং আবু ত্বহাকে ওয়াজ মাহফিলে না আনার অনুরোধ করা হয় আয়োজকদের। পাশাপাশি আয়োজকদের বলা হয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আবু ত্বহা ওয়াজে অংশ নিতে পারবেন না।

তিনি জানান, এসময় আয়োজক কর্তৃপক্ষ আবু ত্বহাকে আনবে না বলে আশ্বস্ত করে। এরমধ্যে রোববার রাতে আয়োজক কমিটি অন্য বক্তাদের দিয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে। কিন্তু একপর্যায়ে মঞ্চ থেকে বলা হয়, আবু ত্বহাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসতে দেননি। এ কথা শোনার পর উপস্থিত জনতা ও স্থানীয় বক্তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে মাহফিলে উপস্থিত থাকা জনতা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে হাইওয়ে থানায় হামলা চালায়।

জামাল পাশা জানান, হামলায় থানার বিভিন্ন মালামাল, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন ওই হাইওয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ ও থানার ভবনের মালিক নান্নু শেখ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে শুরু করে। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজীব বেপারী (২২), রাফি মোল্যা (১৮), পারভেজ (২১), আকাশ শেখ (২২), সোহেল (১৮), রাকিব মাতুব্বর (২০) ও সাজ্জাদকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।