নিম্নমানের ইট ও পাথরে চলছে নোয়াখালী রেলওয়ের পার্কিং কার্পেটিং

Passenger Voice    |    ১২:০১ পিএম, ২০২১-১১-২৬


নিম্নমানের ইট ও পাথরে চলছে নোয়াখালী রেলওয়ের পার্কিং কার্পেটিং

নিম্নমানের ইট ও পাথর দিয়ে নোয়াখালী রেলওয়ের পার্কিং এলাকায় তড়িঘড়ি করে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

সরজমিন দেখা গেছে, নোয়াখালী রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। পার্কিং এলাকার কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি। তবু আগের পার্কিংয়ের ওপর বালু ঢেলে প্রায় এক ফুট উঁচু করে কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন শ্রমিকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ অনেকটা অপরিকল্পিতভাবে এ পার্কিংয়ে কার্পেটিং করছে। এ কারণে তাদের বর্তমান কার্যালয়টিও পার্কিং থেকে প্রায় আড়াই ফুট নিচু হয়ে পড়ছে। এতে যাত্রীসাধারণ, রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে গিয়ে বিপত্তি পোহাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ওঠানামা করতে পড়ে গিয়ে অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। যাত্রীরা বলেন, রেলওয়ের পুরোনো লেনগুলোর সংস্কার করা হলে এ পথের গতি বাড়ত। একই সঙ্গে, রেলের বগি বাড়ানো গেলে সাধারণ যাত্রীদের চলাফেরায় আরও সুবিধা হতো। খবর শেয়ার বিজ

জানা গেছে, রেলওয়ের পার্কিং বাড়ানোর দরকার ছিল। কিন্তু উঁচু করার দরকার ছিল না। এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়নকে সরকারি অর্থ তছরুপ বলে মনে করছেন অনেকে। শ্রমিকরা জানান, তাদের ঠিকাদারের ম্যানেজারের কথা অনুযায়ী কাজ করছেন। তারা ঠিকাদারের নাম, ঠিকানা বলতে পারেননি।

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক প্রকৌশলী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা জানাতে না পারলেও এ বিষয়ে বলেন,  প্রয়োজন অনুযায়ী এখানে কার্পেটিং চলছে। তবে কত টাকার কাজ, কবে দরপত্র আহ্বান হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টিকে অফিশিয়াল ব্যাপার উল্লেখ করে বলেন, কভিডের কারণে কাজটি করতে অনেক দেরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯০৩ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের পরিচালনায় বেসরকারি লাকসাম-নোয়াখালী রেল শাখা চালু হয় এবং এ লাইনের স্টেশন হিসেবে নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। ১৯০৫ সালে এ লাইনটি সরকার কিনে নেয় এবং ১৯০৬ সালের ১ জানুয়ারি আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের সঙ্গে একীভূত করে।

নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুরোনো জেলা শহরের দক্ষিণে ইছাখালী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৬-১৯৪৭ সালের দিকে নোয়াখালী শহর মেঘনায় নিমজ্জিত হওয়ার পর ১৯৫০ সালে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে স্থানান্তর হয়। কালের বিবর্তনে মেঘনা ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে চলে গেছে। ফলে নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুবর্ণচরে রেললাইন নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন নোয়াখালীর বাসিন্দারা।