রাতের আঁধারে ছাড়ছে শহর

Jahangir Alam babu    |    ১০:৪৭ এএম, ২০২১-০৪-১৯


রাতের আঁধারে ছাড়ছে শহর

জাহাঙ্গীর আলম বাবুঃ রাতে শহর ছাড়ছে দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষ জন। চট্টগ্রাম নগরীতে অস্থায়ী কাজ করা এই সব মানুষ জন লকডাউনে তাদের নির্দিষ্ট কোনো কাজ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

তাছাড়া গণপরিবহণ না থাকাতে বিভিন্ন রকম মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি সহ পন্যবাহী পরিবহনে করে ছাড়ছে শহর। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন যার ফলে সবচেয়ে বেকাদায় পড়েছে নগরীতে দৈনিক  কাজ করা  মানুষ জন। বন্ধ রয়েছে মার্কেট-শপিংমল, ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যার ফলে অস্থায়ী কাজ করা মানুষ জন তাদের সকল রুটি-রুজির পথ বন্ধ হওয়াতে নগরী ছাড়ছে রাতের আঁধারে।

দ্বিতীয় ধাপের এই লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করাতে শহর ছাড়া এই মানুষ জন পড়েছে বেকায়দায়। দিনের বেলায় সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকে এবং নানা রকম তল্লাশি ও মালবাহী গাড়িতে যাত্রী থাকলে জরিমানা করে বিদায় তারা রাতের আঁধারে ছুটেছে নিজ নিজ গন্তব্যে ।   

এদিকে রাতে দূরপাল্লার কিছু বাস বিভিন্ন গন্তব্যর উদ্দেশে ছাড়লেও ভাড়া বেশি হওয়াতে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পক্ষে বাসে চড়ার স্বাদ থাকলেও সামর্থ্য নেই। তাই কষ্ট হলেও  মালবাহী গাড়ি করেই তাদের নিজ গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরী ঘুরে দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন জায়গায় শহর ছাড়া এই সব মানুষের জমাট।নগরীর নতুন ব্রীজ,অক্সিজেন মোড়,বহদ্দারহাট, নিমতলা বিশ্ব রোড,অলংকার, এ.কে. খান,সিটিগেইট এলাকায় দল বেঁধে দাড়িয়ে আছে ঘরমুখো অনেক যাত্রী। নগরীর অলংকার, এ.কে.খান, সিটিগেইট নগরীর প্রবেশ ও বাহিরের মুখ হওয়ায়  এই এলাকায় মানুষের জমাট বেশি দেখা যায়। আর তাদের উদ্দেশ্য হলো মালবাহী গাড়ি। বেশ কিছু সময় ধরে মালবাহী গাড়ির পাওয়ার আশায় দাড়িয়ে থাকেন তারা । 

বাড়িতে যাওয়া কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, এই লকডাউনে আমাদের কোন কাজ কাম নেই সরকার ৭ দিনের লকডাউন দিছে কিন্তু এটা কখন খুলবে সেটা সরকারে জানে শহরে এই ভাবে কাজ না করে থাকলে আমাদের না খেয়ে  মরতে হবে তাই মরলে নিজ স্থানে গিয়ে মরবো তাই রাতে যে কোন মালবাহী গাড়ির ছাদে করে হলেও বাড়ি চলে যাবো।