সাশ্রয় হবে ৪শ কোটি টাকা

Passenger Voice    |    ০৩:৩৪ পিএম, ২০২১-০২-২৩


সাশ্রয় হবে ৪শ কোটি টাকা

লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (বারিক বিল্ডিং থেকে বন্দর ভবন পর্যন্ত অংশ) অ্যালাইমেন্ট চূড়ান্ত করতে গতকাল সোমবার এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

সভায় লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরমুখী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কোন পিলার বন্দরের গেটগুলোতে যাতে না পড়ে সে লক্ষ্যে স্প্যানের দ‚রত্ব সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত অনুমোদিত ডিপিপিতে পাঠানো নকশা অনুযায়ী মূল সড়কের মধ্যখানে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বহাল, যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নির্মাণকাজ চলাকালীন সড়কের দুই দিকে দুই লেইন করে মোট চার লেইন ফ্রি রেখে নির্মাণ কাজ করা, ফ্লাইওভারের যে পাশে কেপিআই এলাকা থাকবে সেই পাশে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শব্দনিরোধক উঁচু ফেন্সিং তৈরি, নির্মাণকালীন সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয় করা এবং বন্দরের বিদ্যমান গেটগুলোতে চলাচলকারী ট্রাক-লরি প্রয়োজনে সিপিএআর গেটে সাময়িক শিফট করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফ্লাইওভারের অ্যালাইমেন্টের ব্যাপারে এসব সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৪ একর জমি এবং সাধারণ জনগণের প্রায় আড়াই একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না এবং সাধারণ জনগণের স্থাপনা বাবদ কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। এতে সিডিএ’র প্রায় ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বন্দর ভবনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার (চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের আমদানি-রফতানি ও দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে সিডিএ’র এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকালীন যাতে বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক-লরির চলাচল নির্বিঘœ থাকে এবং বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে কোনরকম বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিভাগীয় প্রধান, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ম্যাক্স-রেনকিং জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দরমুখী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেয় একনেক। এর প্রায় দেড় বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র : পূর্বদেশ।