চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও সুরক্ষা বীমা’

Passenger Voice    |    ০২:৪২ পিএম, ২০২১-০২-১৬


চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও সুরক্ষা বীমা’

জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আগামী ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু বীমা মেলা আয়োজন করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। দিবসটি উপলক্ষে আইডিআরএ নিজস্ব অর্থায়নে চালু করছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’। এর বার্ষিক প্রিমিয়াম ৮৫ টাকা। এছাড়া মাত্র ১০০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ২ লাখ টাকার চিকিৎসা সুবিধাসহ চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’। সোমবার মতিঝিলে অবস্থিত আইডিআরএর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ কথা জানান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান ডাঃ এম মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, তিন থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য অভিভাবকরা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা করতে পারবেন। এজন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৫ টাকা। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি গ্রহণের পর কোন কারণে অভিভাবক মারা গেলে ওই শিশু ১৭ বছর পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবেন।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানীর পাশাপাশি দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার বীমা হোক সবার’। আগামী ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধু বীমামেলা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিআইসিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও সুরক্ষা বীমা চালু করা হবে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে স্বল্প প্রিমিয়ামে অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য দুই লাখ টাকার চিকিৎসা সুবিধাসহ চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’। এছাড়া ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধীর জন্য স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্প তৈরির কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু স্পোটর্সম্যান ইন্স্যুরেন্স’।

তিনি বলেন, বীমা দিবসটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের জন্য বিরাট ভূমিকা রাখা যায়। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালে ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছেন। তিনি আরও বলেন, যে দেশের বীমা খাত উন্নত সে দেশের অর্থনীতি ভাল। উন্নত দেশগুলোতে বীমা সেক্টরের টাকা দিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যদিও বাংলাদেশের সব সেক্টরে উন্নতি লাভ করলেও বীমা খাত পিছিয়ে আছে। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইন্সুরেন্স খাতকে আরও উন্নতি সাধন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আইডিআরএর দুই সদস্য এবং ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। শেখ কবির হোসেন বলেন, আমাদের কাজ খুব একটা ভাল না হওয়ায় যেখানে সব সেক্টর এগিয়ে গেছে, সেখানে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। আমরা জানি যেই দেশের বীমা খাত যত উন্নত ও শক্তিশালী সেই দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে বীমা খাতের লাইফ ফান্ডের টাকা দিয়েই বড় বড় মেগা প্রজেক্ট হয়। এখানেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।