পাওনা টাকা আদায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আনুষ্ঠানিক চিঠি বেবিচকের

Passenger Voice    |    ০৫:৩৪ পিএম, ২০২৫-১১-০৪


পাওনা টাকা আদায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আনুষ্ঠানিক চিঠি বেবিচকের

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওনা রয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিমানের কাছে সংস্থাটির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৮ কোটি টাকারও বেশি। বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা আদায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিমানের কাছে বেবিচকের মোট পাওনা ৬ হাজার ৬৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিল অ্যামাউন্ট বাবদ বকেয়া ৭৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ ৫২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (ভ্যাট ৫২৮ কোটি ৩৭ লাখ ও আয়কর ৫১ লাখ টাকা)। এছাড়া সারচার্জ বাবদ বকেয়া রয়েছে আরও ৪ হাজার ৭৯৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

বেবিচকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। অথচ বেবিচকের মূল আয়ের উৎস হলো এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে পাওয়া অ্যারনটিক্যাল ও নন-অ্যারনটিক্যাল চার্জ। যাত্রী নিরাপত্তা ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা মোট ব্যয়ের তুলনায় অতি সামান্য।

বেবিচকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আদায় না হওয়ায় সংস্থাটি বিভিন্ন সময়ে অডিট আপত্তি ও আর্থিক সংকটে পড়েছে। বিমানসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের কাছেই আমাদের বকেয়া আছে। তবে বিমানের পাওনার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার বোশরা ইসলাম বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) প্রতিবছর নির্ধারিত পাওনা পরিশোধ করে আসছে। পাশাপাশি পূর্ববর্তী বছরের বকেয়া পরিশোধের জন্যও প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা বেবিচকে প্রদান করা হচ্ছে।