রাজধানীতে মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধসহ ১২ সুপারিশ

Passenger Voice    |    ০৩:৩৫ পিএম, ২০২৪-১০-০৬


রাজধানীতে মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধসহ ১২ সুপারিশ

যানজট নিরসনে রাজধানীতে নতুন করে মোটরসাইকেল নিবন্ধন বন্ধ করাসহ ১২ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। 

সুপারিশগুলো হলো: 
 
১. রাজধানী ঢাকায় উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করা।
 
২. এই মুহূর্তে ঢাকায় মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা।
 
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া / মোটরসাইকেল চালানোর সময় বিড়ালকে আঘাত, বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা
 
৩. ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেল চালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।
 
৪. ফুটপাত দখলমুক্ত করা, ফুটপাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পথচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কের মিডিয়ানে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা।
 
৫. ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মতো ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা; জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক-চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা।
 
৬. প্রধান সড়কে, সড়কের বাঁকে পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা,  যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা।
 
৭. যত্রতত্র হাত তুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
 
৮. যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে- এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা।
 
৯. ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা। বিকল্প সড়ক ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণনয় ও বাস্তবায়ন।
 
১০. মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্তান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারগারি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র‌্যাম্প বাড়ানো।
 
১১. বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে দুই বা তিন লেনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
 
১২. বাস দাঁড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুঁজে খুঁজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এ সব বাসস্টপেজে যাত্রী ওঠানামা বাধ্যতামূলক করা। এরইমধ্যে তৈরি করা বাস বেগুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী ওঠানামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।