শিরোনাম
Passenger Voice | ০৪:৫৪ পিএম, ২০২৪-০৬-২৩
১লা ডিসেম্বর ২০২৩ সাল হুইসেল বাজিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন সাতকানিয়া - লোহাগাড়া - চকরিয়ার পাহাড় ভেঙে সমুদ্র নগরীতে প্রবেশ করলে আমরা আবেগে আপ্লুত হই। অত্র রেললাইন বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে জণগনের দৃশ্যমান সেবার দ্বারে আপনার নামখানা মানুষের হৃদয়ে চিরভাস্বরতার অনন্য উদাহরণে পরিণত হেয়েছে। ইতিহাস থেকে প্রণীত ১৯৫৭ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম - কক্সবাজার রেললাইনটির জন্য তৎকালীন সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছিলেন।
ইতিহাসের সেই সূর্য সন্তানের পথেই আপনার সাহসী অগ্রযাত্রায় বনাঞ্চল, জমি, বাড়িঘর ভেদ করে মানুষের ক্ষতি পুষিয়ে প্রায়ই বিশহাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমাদের জন্য বিশাল এক পাওনা। পর্যটন এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামক দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে আগমন করছে যার ফলে মানুষ তার গন্তব্যে নিরাপদে ও নির্ভয়ে যাওয়া আসা করছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুবিধা হয়েছে।
দুঃখজনক বিষয় যে, একটি ট্রেন বহু অনুরোধে বিশেষ ট্রেন হিসেবে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার লাইনে চলাচল করছিল। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ঠ দায়িত্বপূর্ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পারি এই বিশেষ ট্রেনটি ঈদে বাড়তি যাত্রী বহনে সুবিধা দিয়েছে মাত্ৰ৷ ২৪/৬/২৪ থেকে এই ট্রেনটি খুবই খোড়া যুক্তিতে বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে যার ফলে টিকেট বিক্রয় এরই মধ্যে বন্ধ। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক প্রণীত দোহাজারী-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের ওয়ার্কিং টাইমটেবল ৫৩ নম্বর অনুসারে এখানে তূর্ণা এক্সপ্রেস,মহানগর গৌধুলী এক্সপ্রেস ও মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাত্রী সেবা দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। জনস্বার্থ অনুসন্ধানে জানতে পারি যে, প্রায়ই এক লাখ যাত্রী প্রতিদিন ট্রেন টিকেট পেতে ইচ্ছুক হয়েও অনলাইনে ব্যর্থ হচ্ছেন। চট্টগ্রামে বসবাসরত কর্মজীবি,সাধারণ নাগরিক · মেডিকেল সেবাই আগত রোগী, বিশ্ববিদ্যালয় - কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা রেলওয়ের এই সিদ্ধান্তে নির্বাক।
অথচ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রেলওয়ে জণগনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম ও লাভজনক খাত, যেখানে ৭২ থেকে ১৫০ ঘন্টা পর্যন্ত হাজার হাজার কিলোমিটার ট্রেন চলাচল হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা যারা সচেতন মহল 'আমরা বুঝতে পারছি যে বাংলাদেশ রেলওয়ে কে অর্থনৈতিক লাভহীন প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করবার জন্য রেলওয়েতে অবস্থান রত একটি ঘাপটি মারা কুচক্রিমহল যারা দেশের উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থের বিরুদ্ধে নিজ স্বার্থ হাসিলে কাজ করছে তারা বিভিন্ন প্রাইভেট পরিবহন সংস্থার সাথে আঁতাত করে এডিবির সাড়ে আঠারো হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে অলাভজনক ও অকার্যকর করবার কাজে মেতে। অথচ ৫৩নং টাইম টেবিলের এই তিনটি ট্রেন চট্টগ্রামে নয়ঘন্টা করে বিরতিতে রয়েছে। এবং বিশেষ ট্রেনের বিক্রি প্রতিদিন এক ট্রিপে তিন লাখ টাকা। অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এ হেন চক্রান্তকারীদের হাত থেকে দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথে যুক্তি অনুসারে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের যাত্রীদের জন্য ট্রেন সেবা চালু করলে আমরা উপকৃত ও কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হবো।
চট্টগ্রাম--কক্সবাজারের সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে- নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2025 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত