সরকার ব্যাংকনির্ভর হলে ঋণ পাবে না বেসরকারি খাত

Passenger Voice    |    ১১:৩৫ এএম, ২০২৪-০৬-০৯


সরকার ব্যাংকনির্ভর হলে ঋণ পাবে না বেসরকারি খাত

ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার রীতি আছে। তবে সরকার যাতে এখান থেকে অতিমাত্রায় ঋণ না নেয়, আমরা সে অনুরোধ জানাই। সরকার যদি ব্যাংক-নির্ভর হয়ে ওঠে, তাহলে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের টাকা পেতে কষ্ট হবে। গতকাল শনিবার(৮ জুন) বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার ব্যবসায়ীদের যতটুকু ছাড় দেওয়া দরকার, তা দেবে। এখন আমাদের তহবিল খরচ ও পণ্যের দাম বেড়েছে। ডলারের দর বাড়ায় আমাদের কস্ট অব ফান্ড বেড়েছে। আর সুদের হার যাতে ১২-১৩ শতাংশের ওপরে না যায়, এ নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর নাগাদ এটা বাড়বে না; বরং কমবে।’

ঋণখেলাপির বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এফবিসিসিআই সৎ ব্যবসায়ীদের পক্ষে, আমরা কখনোই অসৎ ব্যবসায়ীদের পক্ষে অ্যাডভোকেসি করি না। যাঁরা ইচ্ছাকৃত খেলাপি, তাঁদের পক্ষে আমরা নই।’

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের ইনফরমাল মার্কেটটা অনেক বড়।

এই ইনফরমাল মার্কেটের টাকাটা যেন মূলধারায় আসে—এটা চাই। তবে সেখানে যাতে অপরাধমূলক আয় থেকে কোনো টাকা বৈধতা না পায়, সে ব্যাপারে আমাদের আপত্তি আছে। এ নিয়ে আমরা সংশোধনী দেব। তবে অনেক দিন ধরে ব্যবসা করা সৎ ব্যবসায়ীদের অনেকে ভুলবশত হয়তো ঠিকমতো কর দিতে পারেননি, আমরা সেটার কথা বলেছি।’

বাজেটে মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা অর্জন করা বিশাল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এফবিসিসিআই মাহবুবুল আলম বলেন, এজন্য সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পণ্য আমদানিতে শুল্ক বসানোর বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, জিরো পার্সেন্ট ডিউটির জন্য সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাচ্ছেন। এখন বলছেন, ১ পার্সেন্ট ডিউটি দিতে হবে। এটা তো বৈষম্যমূলক হয়ে যাচ্ছে। এফডিআইর জন্য নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। আমরা দাবি করছি, সেখানে অন্তত আরও ৫-১০ বছরের জন্য জিরো পার্সেন্ট ডিউটি সুবিধা রাখতে হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি সংকটের মধ্যেও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সুশাসন ও যথাযথ নজরদারি প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, কয়েকটি নিত্যপণ্যের উৎসে কর কমানো ও আইসিটির কয়েকটি খাতে কর অবকাশ বাড়ানো ইতিবাচক।