শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:৫৪ পিএম, ২০২৪-০২-১২
ব্যাংকঋণের সুদহারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতেও সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালকুদারের সঙ্গে দেখা করে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) প্রতিনিধিরা। এই মুহূর্তে ঋণের সুদহার কমানো সম্ভব নয় বলে জানান গভর্নর। কারণ মূল্যস্ফীতির দিকেই নজর গভর্নরের। তবে ঋণের সুদহার যাতে বেশি জাম্প না করে, সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিসিআই’র সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিসিআই’র পক্ষে সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীসহ অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যাংকঋণের সুদহার, কাঁচামালের এলসি খুলতে না পারা, নির্ধারিত দরে ডলার না পাওয়া, সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট (একক ঋণগ্রহীতার সীমা), রপ্তানির প্রণোদনা এবং গ্রুপ শ্রেণীকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিসিআই’র সভাপতি বলেন, ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে, যার কারণে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। আবার ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগ করছে, যার কারণে বেসরকারি খাত ফান্ড পাচ্ছে না। এই বিষয়ে গভর্নরকে বলা হয়েছে।
গভর্নর জানান, এ মূহূর্তে ঋণের সুদহার কমানো সম্ভব নয়। কারণ মূল্যস্ফীতির দিকেই তার নজর। ঋণের সুদহার যাতে বেশি জাম্প না করে, সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে প্রবৃদ্ধির দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে না। তবে এসএমই ও কৃষি খাতে যাতে ঋণ পায় সে বিষয়ে নজর রয়েছে। এ পলিসিতে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা গভর্নরের।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার এলসি খুলতে গেলেও নির্ধারিত দরে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে বেশি রেট নিচ্ছে। অন্যদিকে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট নিয়েও কথা হয়েছে। যেটা আগে ৩৫ শতাংশ ছিল, তা এখন ২৫ শতাংশে করা হয়েছে, যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে গভর্নর তাদের জানান, এ বছরের শেষে ডলার সংকট কেটে আসবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ঢালাওভাবে এলসি ওপেন করা বন্ধ করা হয়েছে। এলসি খোলায়ও তদারকি করা হচ্ছে। ফলে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং করতে পারছে না। ফলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পজিটিভ হচ্ছে। আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, সব দেশে ব্যক্তিগত কোম্পানি ব্যক্তিগতভাবে বিবেচনা করা হয়। যারা গ্রুপ তাদের রেজিস্টার্ড করতে হয়। চার-পাঁচ কোম্পানি মিলে একটা গ্রুপ করতে হয়। বাংলাদেশে গ্রুপ হিসেবে কেউ রেজিস্টার্ড নয়। তাহলে একটি কোম্পানিকে কেন গ্রুপ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে গভর্নরকে বলা হয়েছে।
রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা ধরেই ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। তবে এটা যথাযথভাবে পাচ্ছে না। ভেঙে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। সেটাও যদি বন্ধ করেন তাহলে ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না। কারণ গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে। এক্ষেত্রে গভর্নর বলেন, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের।
প্যা/
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত