হরতালের শেষ দিনে বেড়েছে যান চলাচল

Passenger Voice    |    ১০:১৬ এএম, ২০২৩-১১-২০


হরতালের শেষ দিনে বেড়েছে যান চলাচল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে ‘একতরফা ও অবৈধ’ ঘোষণা দিয়ে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিনে রাজধানীতে যান চলাচল বেড়েছে। তবে এদিন সকালেও চলেনি দূরপাল্লার বাস। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি দেশজুড়ে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) হরতালের শেষ দিনে রাজধানীতে এমন চিত্র দেখা যায়। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।

সকালে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, মাজার রোড, বিমানবন্দর এলাকা, খিলখেত, ফার্মগেট ঘুরে হরতালের প্রথম দিনের তুলনায় বেশি গণপরিবহন চলতে দেখা যায়। এছাড়া রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশার মতো কিছু বাহন চলতে দেখা যায়।

এদিন সড়কে ব্যাক্তিগত যানবাহনও বেশি চলতে দেখা যায়। তবে সকালে গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বেলা বাড়লে যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে দুরপাল্লার পরিবহন ছাড়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

হরতালে সারাদেশে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অবরোধে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী পরিবহন, জ্বালানি তেলবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা (এসকর্ট সার্ভিস) দিচ্ছে র‌্যাব। রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচলকারী ও ঢাকামুখী পরিবহনকে দেয়া হবে এই নিরাপত্তা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুরও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতংক সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। তাই দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী পরিবহন, জ্বালানি তেলবাহী লরিসহ অন্যান্য যান চলাচলে যেন কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করবে র‌্যাব।

এদিকে হরতালের প্রথম দিনে বেশ কয়েকটি স্থানে বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩৩টি যানবাহনে (ট্রেন ছাড়া) আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে আগুন দেওয়া হয়েছে ৮৭টি যানবাহনে।

গত ১৫ নভেম্বর রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ এই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী সমমনা দলগুলো।

মূলত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে ‘হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের’ প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে একই কর্মসূচিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো। এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২ এবং ৫, ৬ এবং ৮, ৯ ও ১২ এবং ১৩ ও ১৫, ১৬ নভেম্বর পাঁচ দফা অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি।

প্যা/ভ/ম