শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:৫৭ পিএম, ২০২৩-১১-১৮
জনমানবহীন অ্যান্টার্টিকায় বরফ দিয়ে তৈরি রানওয়েতে অবতরণ করেছে নোর্স অ্যাটলান্টিক এয়ারওয়েজের একটি দৈত্যাকার বিমান। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের এ বিমানটি গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) অ্যান্টার্টিকায় যায়। এরমাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্টিকার নির্জন বরফ রাজ্যে অবিস্থিত— ট্রোল এয়ারফিল্ডে— বিশাল আকৃতির বিমানের চাকার দাগ পড়ে।
নীল বরফের এ রানওয়েটি লম্বায় মাত্র ৯ হাজার ৮৪০ ফুট। আর প্রস্থে ১০০ ফুট। এটি তুষার এবং বরফের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।
অ্যান্টার্টিকায় অবতরণ করা বিমানটির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, খুব নিচু হয়ে বিমানটি নেমে আসছে। ওই সময় চারপাশে সূর্যের আলো জ্বলজ্বল করছিল। বিশালাকৃতির এ বিমানটিতে একসঙ্গে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ ভ্রমণ করতে পারেন।
তবে অ্যান্টার্টিকায় যাওয়া এ বিমানটিতে কোনো সাধারণ যাত্রী ছিলেন না। এটি মূলত নরওয়ের পোলার ইনস্টিটিউপেটর ৪৫ জন বিজ্ঞানী ও কর্মীকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে বিমানটি অ্যান্টার্টিকায় নিয়ে যায় ১২টন যন্ত্রাংশ। নরওয়ের পোলার ইনস্টিটিউট বিমানটি ভাড়া করে।
অ্যান্টার্টিকায় অবতরণ করা বিমানটির যাত্রা খুব সহজ ছিল না। এটি গত ১৪ নভেম্বর প্রথম নরওয়ের রাজধানী ওসলো থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর যাত্রাবিরতি দেয় কেপটাউনে। সেখান থেকে বিমানটি আরও দক্ষিণ দিকে গিয়ে বুধবার রাতে অ্যান্টার্টিকায়— রেকর্ডগড়া অবতরণটি করে।
কার্গো রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকার বিষয়টি এ বিমানকে অ্যান্টার্টিকায় পাঠানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটির জ্বালানির কার্যকারিতাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। বিমানটি কেপটাউন থেকে অ্যান্টার্টিকায় গিয়ে আবার কেপটাউনে ফিরে আসে। ওই সময় বিমানটিতে পুনরায় জ্বালানি সরবরাহের প্রয়োজন পড়েনি।
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত