শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:২৭ পিএম, ২০২৩-০৩-০১
রাজশাহীতে গ্রাহককে ৬ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) বিরুদ্ধে। পাঁচ দফা ঘুরে এই লাইসেন্স পেয়ে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে লাইসেন্স গ্রহীতা নাহিদ হোসাইন সবুজের।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সবুজ ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা সবুজ। ২০২১ সালে বিআরটিএ রাজশাহী অফিসে লাইসেন্স করতে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন পাওয়া স্মার্ট লাইসেন্স কার্ডে বলা হয়েছে ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর। আর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ রয়েছে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর। অর্থাৎ হাতে পাওয়ার আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ওই লাইসেন্সের।
ভুক্তভোগী সবুজ জানান, লাইসেন্স করার সময় লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাকে হাতে লেখা কাগজের একটি লাইসেন্স দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিন ধরেও স্মার্ট লাইসেন্স প্রিন্ট না পেয়ে পাঁচবার তাকে কাগজের লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে। প্রতিবারই রাজশাহী বিআরটিএ অফিস এ মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়াদ কম হওয়ার কারণে সড়কে অনেক ঝক্কি-ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে তাকে। অবশেষে স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়েছে দেখে তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভুল দেখে এক মুহূর্তেই যেন সেই খুশি শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিআরটিএ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে প্রিন্ট করার সময় এটা ভুল হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তারা ঢাকায় ই-মেইল করে দিচ্ছেন। তার নতুন লাইসেন্স আসবে ঠিকঠাকভাবে। এক সপ্তাহ পর তাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) আব্দুল খালেক বলেন, প্রিন্টিং মিস্টেকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা বড় সমস্যা না। যে প্রতিষ্ঠান প্রিন্ট করে দেয়, তারা আবারও নতুন করে প্রিন্ট করে দেবে।
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2023 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত