ঢাকায় ৫ হাজার সিএনজি লাইসেন্স পেতে আবারও সোচ্চার চালকরা

Passenger Voice    |    ০৩:৫৩ পিএম, ২০২২-০৫-২১


ঢাকায় ৫ হাজার সিএনজি লাইসেন্স পেতে আবারও সোচ্চার চালকরা

লাইসেন্সধারী চালকদের জন্য প্রতিশ্রুত পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবিলম্বে বরাদ্দ, পার্কিংয়ের স্থান না দিয়ে নো-পার্কিং মামলা বন্ধসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক (সিএনজি) অটোরিকশা ড্রাইভার্স ইউনিয়ন। শনিবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনিয়নের নেতারা এসব দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চালকদের মধ্যে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া সরকার নির্ধারিত ৯০০ টাকা জমা বাস্তবায়ন, টার্মিনাল ব্যতীত সিটি টোল না নেওয়া, স্থায়ী পার্কিং স্ট্যান্ড নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নো-পার্কিং মামলা বন্ধ রাখা, সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, পাঁচ হাজার গাড়ি (সিএনজি অটোরিকশা) না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগর হতে কোনো গাড়ি বন্ধ না করা ও গ্যারেজ ভাড়ার নামে চালকদের নিকট হতে জোরপূর্বক টাকা আদায় বন্ধের দাবি জানানো হয়।

সিএনজি অটোরিকশা চালকদের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাঁচবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। ফলে অটোরিকশার চালকরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ি চালিয়েও সংসার চালানোর মতো প্রয়োজনীয় আয় করতে পারছেন না। এরপর রয়েছে নানা মামলার ঝামেলা। ফলে বাধ্য হয়ে ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে সেসব মামলার জরিমানা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এরপরও অটোরিকশা শ্রমিকদের সাত দফা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও জানান তারা।

অবিলম্বে সিএনজি চালকদের সাত দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, অন্যথায় ধর্মঘট পালনের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা ছাড়া শ্রমিকদের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে ন।

বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহন শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন, পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টনের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে বাড়তি ভাড়া আদায়কারী মালিকরা ২৫-২৬ মে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, মালিকদের এই ধর্মঘটের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে মালিকরা শ্রমিক দরদি সেজে তাদের সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে চান। সিএনজি মালিকের মূলত দৈনিক জমার পরিমাণ আবারও বাড়াতে চান।

সমাবেশে বক্তারা ধর্মঘট আহ্বানের হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। একইসঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের নামে দালাল নেতৃত্বকে চিহ্নিত করতে আহ্বান জানান।