মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ও ইজিবাইক বন্ধের দাবি

Passenger Voice    |    ০১:০৯ পিএম, ২০২২-০৪-২৪


মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ও ইজিবাইক বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে দেশের সব জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ, রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, করোনা সংকটে বিগত দুই বছরে দেশের পরিবহনের বহরে ১০ লাখ মোটরসাইকেল নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নেমেছে। বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করে। যা দেশের যানজট ও জনজট প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে গণপরিবহন সংকটকে কাজে লাগিয়ে ১২ লাখ ট্রিপ যাত্রী রাজধানী থেকে আশপাশের জেলাসহ দূর-দূরান্তে মোটরসাইকেলে যাত্রা হতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন আন্তঃজেলায় রাইড শেয়ারিং পন্থায় আরও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ট্রিপ যাত্রী মোটরসাইকেলে বাড়ি যাবে। ঈদ যাত্রী বহরে দেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০ থেকে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকবে। এসব মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তান লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-কারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন, বিগত ঈদে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ও ৬২২ জন আহত হয়েছিল। এতে কেবল মোটরসাইকেলে ১৪৪টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত, ১৯৯ জন আহত হয়েছিল। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫.২৮ শতাংশ, নিহতের ৪৩.০৩ শতাংশ এবং আহতের ৩১.৯৯ শতাংশ। এবারের ঈদে অতীতের যেকোনো সময়ের প্রায় তিন গুণ যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তিন গুণ বেড়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় ঈদ যাত্রী বহনের জন্য ১৫ লাখের বেশি ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে নেমে আসতে পারে। এসব ছোট যানবাহন দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেটকারের গতি কমিয়ে দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে যানজট তৈরি করা, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। এজন্য এবারের ঈদযাত্রায় জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।