বাসের সুপারভাইজার হত্যায় গ্রেপ্তার ১

Passenger Voice    |    ০৩:৪৩ পিএম, ২০২২-০৪-১৭


বাসের সুপারভাইজার হত্যায় গ্রেপ্তার ১

লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসের সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটন (৩৭) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম ইউসুফ ভুঁইয়া (২৫)। শনিবার রাতে নরসিংদীর মাধবদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রাজধানীর মালিবাগে আজ রোববার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
 
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ইউসুফ ভুঁইয়ার বাবার নাম বাবুল ভুঁইয়া। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বারআনী গ্রামে তার বাড়ি। 

নিহত রিয়াদ হোসেন লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার মোহাম্মদনগর (দক্ষিণ পালের বাড়ি) গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। গত ৯ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ঝুমুর মোড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ইকোনো সার্ভিস নামের একটি বাসের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই বাসের সুপারভাইজার ছিলেন। 

মুক্তা ধর জানান, এ ঘটনায় বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ইউসুফ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

ইউসুফ ওই বাসে হেলপার হিসেবে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি ভবঘুরে ছিলেন। ওবায়দুর নামে তার এক প্রতিবেশী ভাই তাকে ইকোনো বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করার ব্যবস্থা করে দেন। ৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় ঢাকার মানিকনগর থেকে সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটন, পুরোনো স্টাফ শিপন ও ইউসুফ যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। রাত সাড়ে ১১টায় লক্ষ্মীপুর পৌঁছান তারা। যাত্রীরা নেমে গেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাসটি পার্কিং করা হয়। 

এরপর পুরোনো স্টাফ শিপন দুই দিনের ছুটিতে যান। রাতে নতুন সহকারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ইউসুফ  সুপারভাইজার লিটনের কাছে পারিশ্রমিক চান। লিটন জানান ইউসুফের ডিউটি এখনো শুরু হয়নি। ৯ এপ্রিল ভোর থেকে শুরু হবে। টাকা-পয়সার বিষয়ে কোনো কথা থাকলে চালক নাহিদের সঙ্গে বলার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউসুফ ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত পুরোনো সহকারী শিপনের সঙ্গে ডিউটি করতে করতে এসেছে বিধায় পারিশ্রমিক দাবি করেন। এ নিয়ে প্রথমে তক-বিতর্ক, পরে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা লম্বা লোহার তৈরি হুইল রেঞ্জ দিয়ে রিয়াদের মাথায় আঘাত করেন ইউসুফ। এতে গাড়ির ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। তখন ইউসুফ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহত রিয়াদের স্ত্রী হালিমা আক্তার (২৯) লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন।