শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে হত্যাচেষ্টা, ৪৫ জনের নামে মামলা

Passenger Voice    |    ০৩:১৮ পিএম, ২০২২-০৪-০৫


শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে হত্যাচেষ্টা, ৪৫ জনের নামে মামলা

বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন মোল্লাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে সুমন মোল্লার মা সেতারা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা  করেন। মামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সিদ্দিকুর রহমান মাসুম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থল, বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।

মামলার আসামিরা হলেন- ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির, তার ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহিদুর রহমান মনির, ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা, ২৫ নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি, মঈন সিকদার, ওয়াদুদুর রহমান সোহেল মোল্লা, আজম, বাসার, সুরুজ, পান্না মৃধা, ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিন মাহমুদ তারিক, শফিকুল ইসলাম ওয়ারেছ এবং জাহিদ। 

মামলার বাীং সেতারা বেগম জানান, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা সোমবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে আমাদের ঘরসহ মোট তিনটি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলে সুমন মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপায়। তাকে বাঁচাতে আল আমিন গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে কাউন্সিলর জাকির মোল্লা, তার ভাই মনির মোল্লাসহ সন্ত্রাসীরা দাঁড়িয়ে থেকে আমার ছেলেকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। 

আহত সুমন মোল্লার স্ত্রী আইরিন বলেন, শত শত মানুষের সামনে আমার স্বামীকে কোপায় মনির মোল্লা, কাউন্সিলর জাকির মোল্লা, সোহেল মোল্লা, মইন সিকদারসহ সন্ত্রাসীরা। এমনকি তারা আমাদের কোনো হাসপাতালেও যেন ভর্তি না করি সেজন্য হুমকি দিয়ে যায়। তারপরও মুমূর্ষু স্বামীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। আল আমিনকেও সেখানে ভর্তি করায়। আমার স্বামীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয়।

প্রসঙ্গত, বরিশাল বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে টানা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তার অনুসারী ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এর আগে শনিবার প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপির অনুসারী তিনজনকে, রোববার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, নির্বাহী সভাপতিসহ ১৫ জনকে কার্যালয়ে ঢুকে মারধর করে ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকসহ দুজনকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করে মেয়র অনুসারীরা।