বিলের অর্থ ছাড়ে দেরি, বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে দেনা ১৩ কোটি টাকা, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পে ধীরগতি

Passenger Voice    |    ১২:০০ পিএম, ২০২২-০১-২৫


ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে দেনা ১৩ কোটি টাকা, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পে ধীরগতি

বার বার বাড়ছে মেয়াদ। তবুও আশানুরূপ অগ্রগতি নেই আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক প্রকল্পের কাজে। আগামী জুন মাসে শেষ হবে তৃতীয় দফার বর্ধিত মেয়াদ। মহামারি করোনাভাইরাসের থাবার পর এখন অর্থ সংকটে ধুঁকছে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটি। অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে তিন মাস কাজ বন্ধ রেখেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মূলত প্রকল্প কাজের বিলের অর্থ ছাড়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে ধীরগতিতে চলছে এ প্রকল্পের কাজ। এর ফলে তৃতীয় দফায় বর্ধিত মেয়াদে কাজ শেষ হওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ৪ কিলোমিটার অংশ ভারতে এবং বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা ব্যয়ে ভারতের নয়াদিল্লির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করছে। ব্যয়ের পুরো টাকাই দিচ্ছে ভারত সরকার। এরপর ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই কাজ শুরু করে টেক্সমেকো।

সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথে ১৩ থেকে ১৫ হাজার স্লিপার বসানো হবে। চলতি জানুয়ারি মাসেই ১২শ স্লিপার আসবে ভারত থেকে। বাকি স্লিপার আসবে ধাপে ধাপে। এছাড়া পাথর লাগবে ২০ হাজার ঘনমিটার। ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ হাজার ঘনমিটার পাথর এসে পৌঁছেছে। রেলপথটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত যাবে। তবে ১৮ মাস মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শুরু থেকেই চলছে ধীরগতিতে। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রথমে বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ করতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করে টেক্সমেকো। এরপর দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ রাখায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার তৃতীয় দফায় আগামী জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে কিনা- সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।