রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস চললেই ব্যবস্থা

Passenger Voice    |    ১০:৩০ এএম, ২০২১-১১-১২


রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস চললেই ব্যবস্থা

রাজধানীতে আগামী রোববার থেকে কোনো পরিবহনের বাস সিটিং সার্ভিস ও গেইটলক সার্ভিসে চললেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনর্নির্ধারিত বাস ভাড়া কার্যকরের লক্ষ্যে বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় ১২০টি পরিবহন কোম্পানি, রুট মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সব নেতারা এক সভায় মিলিত হন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা মেট্রো এলাকায় বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে কি-না এবং সিএনজি চালিত বাসে বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত আটটি ভিজিল্যান্স টিম বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে কোথাও কোথাও অনিয়মের অভিযােগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে বৃহস্পতিবার থেকে ভিজিল্যান্স টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে। এমনকি বিআরটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়ােজনে গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে। এই অভিযান চলমান থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে ঢাকা মেট্রো এলাকায় সিটিং ও গেইটলক সার্ভিস নামে কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। সব ধরনের গাড়ি থেকে সিটিং ও গেইটলক সার্ভিস লিখা মুছে ফেলতে হবে। আর তা মানা না হলে ওই সব বাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেক গাড়িতে দৃশ্যমানস্থানে বিআরটিএর ভাড়ার তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে, চলমান অভিযানে অনেক গাড়িতে বিআরটিএর তালিকা পাওয়া যায়নি। যারা ভাড়ার তালিকা পায়নি তাদেরকে বিআরটিএর অফিস থেকে সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্ব-স্ব রুটের মালিকদের সঙ্গে জরুরি সভা করে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। না হলে অভিযুক্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে বাসে সিটিং, গেটলক ও স্পেশাল সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বিষয়টি তদারকিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। তবে অঘোষিত ধর্মঘটের মুখে সেসময় তা বন্ধ করা যায়নি।