শিরোনাম
passengernews | ০৯:৫৩ এএম, ২০১৮-১২-১৮
ভেবে দেখুন তো, আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিয়েগো সিমিওনের সঙ্গে একই ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমেছেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি রোনালদো। গায়ে নেই রিয়াল মাদ্রিদের ধবধবে সাদা বা বার্সেলোনার বিখ্যাত বেগুনি-নীল জার্সি। বরং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাদা-লাল জার্সি পরে মাঝমাঠ থেকে সিমিওনের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে গোল করছেন তিনি। ভাবতে কষ্ট হচ্ছে, তাই তো? অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে আর মাত্র চার মিলিয়ন ইউরো থাকলে এই দৃশ্যপট আর কল্পনার মাঝে আটকে থাকত না, নেমে আসত বাস্তবতার পাতায়। এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাটলেটিকোর সাবেক সভাপতি হেসুস গিল। বিশ্বমঞ্চে ব্রাজিলের রোনালদোর আবির্ভাবটা হয়েছিল একদম রাজকীয়ভাবে। ব্রাজিলের ক্লাব ক্রুজেইরোর হয়ে গোলবন্যা ছোটানো রোনালদোকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পরপরই দলে নিয়ে আসে ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দহোভেন। সেখানে এসেও গোলের ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি। উনিশ-বিশ বছর বয়সী টাকমাথার এক তরুণ ডাচ লিগে গোলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন, স্বাভাবিকভাবেই নজর পড়ে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে শুরু করে বার্সেলোনা, সবাই খোঁজ নিতে শুরু করল রোনালদোর, চেষ্টা করতে লাগল নিজেদের দলে নিয়ে আসার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তো স্বীকারই করেছেন, ওয়ার্ক পারমিট সংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে রোনালদো ১৯৯৬ সালে ম্যানচেস্টারের লাল দলেই আসতেন। রোনালদোর এত চাহিদা দেখে পিএসভিও তাদের সোনার ডিমপাড়া হাঁসের দাম এক লাফে বাড়িয়ে দিয়েছিল দ্বিগুণেরও বেশি। ৫ মিলিয়ন ইউরোর কিছু বেশি দিয়ে দলে আনা রোনালদোকে নিতে হলে ১২ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া লাগবে, আগ্রহী ক্লাবগুলোকে সাফ জানিয়ে দেয় পিএসভি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2023 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত