‘মেট্রোরেলের ভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে’

Passenger Voice    |    ০৪:২৪ পিএম, ২০২১-০৯-২০


‘মেট্রোরেলের ভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে’

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) ভাড়ার প্রস্তাব এখনও করা হয়নি। এমনটা জানিয়েছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। তবে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মেট্রোর মাসিক বা দৈনিক ব্যয় নির্ধারণ করে সরকারের জানানো হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এরপর ভাড়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হবে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে যে তথ্য এসেছে সেটি সঠিক নয় বলেও দাবি প্রতিষ্ঠান দুটির।

জানতে চাইলে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটির প্রধান খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, ‘মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে কোনও প্রস্তাব করিনি। এ নিয়ে কারও সঙ্গে কথাও হয়নি। ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ ছাড়াতো ট্রেন চলবে না। সময় হলে গণমাধ্যমও জানতে পারবে। ’তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে, সরকারও এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।’

কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেল রক্ষাবেক্ষণের বিশাল এ ব্যয় শুধু যাত্রীর ভাড়া থেকে তোলা সম্ভব নয়। এ জন্য বিকল্প আয় বা ভর্তুকির প্রয়োজন। বিকল্প আয় না থাকলে ভাড়া হবে এক রকম, থাকলে হবে আরেকরকম।

জানতে চাওয়া ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেল তো আমার বিষয় নয়। সরকার নির্ধারণ করবে। ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হলে ভর্তুকির প্রশ্ন আসবে কেন?’ তিনি আরও বলেন,‘আমাদের আইনে দুটি বিষয় আছে। প্রথমত, জনগণের সক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, মেট্রোরেল পরিচালনা ব্যয়। এখন সমন্বয় নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আগাম কিছুই বলা যাবে না।’ মেট্রোরেল এমডি আরও বলেন, ‘আমাদের যেটা পরিচালনা ব্যয় তা সরকারকে জানিয়ে দেবো। আমরা বলবো পরিচালনা ব্যয় এত টাকা হলে মেট্রোরেল নিজের মতো চলতে পারবে। সরকার যদি মনে করে প্রথম দিকে একটু কমিয়ে ভাড়া রাখবো, সে ক্ষেত্রে খরচ না উঠলে তো মেট্রোরেল চলতে পারবে না। এটা যদি সমন্বয় করা হয় তবে নিশ্চিতভাবে আমরা প্রথম থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো। না হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।’

প্রতিমাসে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে কাজ করছি। হয়তো মাসখানেক পর একটা হিসাব দিতে পারবো।’ বিকল্প উৎস থেকে আয়ের প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ‘সেখান থেকে তো আয় আসবে। এটা বিশ্বের সবখানেই রয়েছে। শুধু ভাড়া দিয়ে মেট্রোরেল লাভজনক করা যাবে না। এর সঙ্গে আরও কিছু সংযুক্ত রয়েছে। স্টেশনে কমার্শিয়াল স্পেস, টিওডি বা ট্রান্সপোর্ট অব ইন্টার ডেভেলপমেন্ট ও স্টেশন প্লাজা- এই তিন বিষয় সংযুক্ত করা গেলে ঘাটতি মেটানো যাবে। এভাবেই বাদবাকি বিশ্বের মেট্রোরেল লাভজনকভাবে চলছে।’