চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

Passenger Voice    |    ১১:১০ এএম, ২০২১-০৯-১৬


চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ মিলেছে। সরকারি রেলওয়ে কোয়ার্টার দখল, বেডিং লোপাট, ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাৎ এবং স্ত্রী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তার হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া তার মদদে মঞ্জু নামে একজন ফল বিক্রেতা দায়িত্ব পালন করছেন গেটকিপারের। ফলে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হিসেবে (এসএম গ্রেড-৪) যোগদান করেন আশরাফুল ইসলাম।

এরপর সরকারি রেলওয়ে কোয়ার্টার দখল করে আবাসস্থল, স্টেশনের স্টোর রুমে মালপত্র না রেখে নিজের জন্য রেস্ট রুম তৈরি, বেডিং তথা বিছানার চাদর, লেপ ও বালিশের কভার লোপাটসহ কেরোসিন তেলের ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করে দুর্নীতি ও অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করেছেন ওই কর্মকর্তা। এদিকে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বদলি হয়ে চিলাহাটি স্টেশনে যোগদান করেন তারই সহধর্মিণী (এসএম গ্রেড-৪) নাজনীন পারভীন।

অভিযোগের প্রাপ্ত তথ্যমতে, নাজনীন পারভীন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি স্ত্রীর হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। একইভাবে মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে স্টেশনে কর্মরত পোর্টার সোহেল অনুপস্থিত থাকলেও তার হয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি। তার সুদৃষ্টি থাকায় বেডিং পোর্টার রুজেল স্টেশনের লেবার দুলালকে দিয়ে নিজের ডিউটি করান।

সূত্রমতে, স্টেশনের পাশের ঘুণ্টিতে গেটকিপার হিসেবে কর্মরত আছেন শাহীন, ফারুক ও মার্জান। অথচ হ্যালোইন লাইট হাতে নিয়ে গেটের পাশের ফল বিক্রেতা মঞ্জুকে চলন্ত ট্রেনকে সিগন্যাল দিতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় অদক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে সিগন্যাল দেওয়ার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। এদিকে সান্টিংয়ের জন্য বরাদ্দকৃত কেরোসিন তেল পয়েন্টসম্যানদের না দিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম অভিযোগগুলোর আংশিক অস্বীকার করে বলেন, কোয়ার্টারটি পরিত্যক্ত বিধায় সেখানে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করছি। আর কেরোসিন তেলের টাকা দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আপ্যায়ন করা হয়।