চিরচেনা রূপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, স্বস্তি ফিরেছে চালকদের

Passenger Voice    |    ০৪:২২ পিএম, ২০২১-০৯-১০


চিরচেনা রূপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, স্বস্তি ফিরেছে চালকদের

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলাচল করে। পাশাপাশি পদ্মার পানি ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া এবং স্রোতের গতিবেগ কমে আসায় সহজে এ নৌরুট পার হচ্ছেন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। ফলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী, চালক ও ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দূরপাল্লার বাস যাত্রীদের নদী পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের কারণে ট্রাকচালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা বাসচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে স্বস্তি ফিরেছে। এখন আর বাসগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় না। সিরিয়ালে গাড়িগুলো ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। 

ট্রাকচালক দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, তীব্র স্রোত এবং ফেরির সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রায় দুই মাস আমাদের চরম ভোগান্তি হয়েছে। বর্তমানে ফেরি বাড়ানো হয়েছে বলে ভোগান্তি কমেছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস পার করার কারণে আমাদের কিছু সময় ফেরিপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলোর মধ্যে ১২টি রো-রো ফেরি রয়েছে। বাকি আটটি ইউটিলিটি ফেরি। বড় ফেরির সংখ্যা বেশি থাকার কারণে এই রুটে ভোগান্তি কমেছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, দেড় মাস ধরে জেলা পুলিশ সদস্যরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী অংশ সচল রাখতে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য নৌরুটের যানবাহনের চাপ থাকায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল কয়েকগুণ বেশি। সেই তুলনায় ফেরি ছিল অপ্রতুল। 

আরো পড়ুন >>>>>> রেলসেতুতে লোহার বদলে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন